Sandeshkhali: সন্দেশখালির আগুনে জল ঢালতে মরিয়া তৃণমূল! দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের নির্দেশে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন স্থানীয় তৃণমূলের (TMC) নেতারা। শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan), শিবু হাজরা (Shibu Hazra), উত্তম সরদারের (Uttam Sardar) নামে ভুরি ভুরি অভিযোগ বাড়ি-বাড়ি গিয়ে শুনছেন তাঁরা। শিবু হাজরা ও উত্তম সরদারদের কাছে কে কত টাকা পান, তার একটি তালিকা তৈরি হচ্ছে। দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের কাছে এব্যাপারে রিপোর্ট জমা দেবেন তাঁরা। এদিকে, শনিবার সন্দেশখালিতে গিয়েছেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের (West Bengal Commission for Protection of Child Rights) প্রতিনিধিরাও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশে আগামিকাল সন্দেশকালিতে যাবেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী।
লোকসভা নির্বাচনের (Lok sabha election 2024) আর মাত্র কয়েকমাস বাকি রয়েছে। তার আগে সন্দেশখালির ড্যামেজ কন্ট্রোলে চেষ্টায় খামতি রাখছে না রাজ্যের শাসকদল। এলাকায় শেখ শাহজাহানের পাশাপাশি শিবু হাজরা, উত্তম সরদারের নিয়েও ক্ষোভের আগুন ক্রমশই চড়ছে। এলাকার অনেককেই প্রতারণা করেছেন শিবু-উত্তমরা, এমনই অভিযোগ মিলেছে। শিবু-উত্তমদের কাছে অনেকেরই বহু টাকা পাওনা রয়েছে। শিবু-উত্তমদের ভেড়ির জমি লিজে দিয়ে টাকা পাননি অনেকে।
দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে তাই সন্দেশকালির গ্রামে গ্রামে ঘুরছেন স্থানী তৃণমূলের উপপ্রধান ও পঞ্চায়েত সদস্যরা। বাড়ি-বাড়ি গিয়ে তাঁরা শিবু-উত্তমদের নামে অভিযোগ শুনছেন মনোযোগ সহকারে। শিবু-উত্তমদের কাছে কার কত টাকা পাওনা? লিজের কত টাকা বাকি? এব্যাপারে বিস্তারিতভাবে তথ্য সংগ্রহ করছেন তাঁরা।
এদিকে, শনিবারই সন্দেশখালিতে পৌঁছোয় রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল। সেই দলে মোট ৬ জন রয়েছেন। রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন তুলিকা দাস, পরামর্শদাতা সুদেষ্ণা রায়-সহ ছ'জনের ওই দলটি এদিন গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেছে। এর আগে সন্দেশখালিতে এক শিশুকে মায়ের কোল থেকে কেড়ে নিয়ে ছুড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল। বিষয়টি জানতে পেরেই তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করেছে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন।
আরও পড়ুন- Digha: বেড়ানোর দুরন্ত অভিজ্ঞতা হবে দিঘায়! পর্যটকদের জন্যই অভূতপূর্ব এই উদ্যোগ
অন্যদিকে, আগামিকাল সন্দেশখালিতে যেতে পারেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই রবিবার সন্দেশখালিতে যাওয়ার কথা রয়েছে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, পার্থ ভৌমিক এবং সুজিত বসুর। তাঁরা কাল ন্যাজাটের (Najat) সেহেরাবাজারে যাবেন বলে জানা গিয়েছে। ওই অঞ্চলটিতে ১৪৪ ধারা (Section 144) নেই। সেখানেই স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে রাজ্যের তিন মন্ত্রী কথা বলতে পারেন। মোটের উপর লোকসভা নির্বাচনের মাত্র কিছুদিন আগে সন্দেশখালিতে রাজ্যের শাসকদলের যে 'ড্যামেজ' হয়েছে, তা কন্ট্রোলে চেষ্টায় বিন্দুমাত্র ফাঁক রাখতে নারাজ তৃণমূল।