C V Ananda Bose: চোপড়া কাণ্ডে রিপোর্ট তলব। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন রাজ্যপাল। রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, চোপড়ার ঘটনা নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়য়ের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন। রিপোর্টে জানতে চাওয়া হয়েছে কোথায়, কবে এই ঘটনা ঘটেছে? ঘটনার ভিত্তিতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? ঘটনার সময় পুলিশের ভূমিকা কী ছিল? ইত্যাদি নানা বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
এদিকে চোপড়ার ঘটনায় সোমবার বিধানসভার সিঁড়িতে বসে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা। সোমবার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ডা. বিধান রায়ের জন্ম-মৃত্যুদিন উপলক্ষে নির্দিষ্ট কর্মসূচি রয়েছে। তার মাঝেই চোপড়ার আঁচ গিয়ে পড়েছে বিধানসভাতেও।
চোপড়ার ঘটনায় প্রবল অস্বস্তিতে শাসক দল। আর চোপড়া ইস্যুকে কেন্দ্র করে তৃণমূলকে নিশানা করেছে বিজেপি। 'ড্যামেজ কন্ট্রোলে' তড়িঘড়ি গ্রেফতার করা হয়েছে ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে। প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি নিশানা করেছেন, বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা।
আরও পড়ুন : < Tarkeswar Lynching: রাজ্যে ফের গণপিটুনি! হুগলির তারকেশ্বরে মৃত্যু যুবকের, হুঁশ ফিরবে কবে? >
যুগলকে নির্মমভাবে মারধরের ঘটনায় রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে নিন্দা করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'এই রাজ্য মহিলাদের জন্য নিরাপদ নয়'। তিনি আরও বলেছেন, 'সন্দেশখালি, উত্তর দিনাজপুর বা রাজ্যের অন্য কোন জায়গা! দিদির পশ্চিমবঙ্গ মহিলাদের জন্য নিরাপদ নয়। তালিবান রাজে পরিণতি হয়েছে বাংলা। তৃণমূল বিধায়ক, নেতা কেউ এই বিষয়ের প্রকাশ্যে নিন্দা জানাচ্ছেন না। এর থেকে এটাই স্পষ্ট বাংলায় 'তালিবানি শাসন' চলেছে। বাংলার এই ঘটনা শরিয়া আইনের নিষ্ঠুরতার কথাকে স্মরণ করিয়ে দেয়। গোটা দেশের মাথা এই ঘটনা হেঁট হয়ে গিয়েছে'।
পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যাতেই আটক করা হয় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে। তাকে ইসলামপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সোমবার ইসলামপুর মহকুমা আদালতে হাজির করানো হবে তাকে।