৩ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধিতে খুশি নয় রাজ্য সরকারি কর্মীরা। ডিএ কেন্দ্রীয় হারে ৩৮ শতাংশ করার দাবিতে অনড় আন্দোলনকারী রাজ্য সরকারি কর্মীদের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। ২০১৫ সাল থেকে যে বকেয়া রয়েছে তা এরিয়ার হিসেবে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে তারা। দাবি আদায়ে এবার কড়া পদক্ষেপের ঘোষণা করল ৩৫টি সরকারি কর্মচারী সংগঠন। আগামী ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের সব সরকারি অফিসগুলিতে পূর্ণদিবস কর্ম বিরতির ডাক দিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। এছাড়া, শুক্রবার রাজ্যজুড়ে ‘ধিক্কার মিছিল’-এরও ডাক দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, ওই ২ দিন রাজ্যের সব সরকারি দফতরে কর্মবিরতী পালন করবেন কর্মীরা। কোনও সরকারি কর্মী এই ২ দিন কোনও কাজ করবে না। কোনও ভাবেই আন্দোলন দমবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন মঞ্চের সদস্যরা।
কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার দাবিতে গত ২৭ জানুয়ারি থেকেই আন্দোলনে নেমেছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। ধর্মতলায় ডিএ-র দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভও চলছে তাদের। এর আগেই আন্দোলনকারীদের হুঁশিয়ারি ছিল, বকেয়া টাকা না পেলে রাজ্যকে অচল করে দেওয়া হবে। কোনও কাজ তাঁরা করবেন না। এমনকী পঞ্চায়েত নির্বাচনের কোনও কাজে তাঁরা অংশ নেবেন না। লাগাতার আন্দোলন চলবে। ভোটে কাজ না করার বিষয়টি রাজ্যের মুখ্যসচিব ও রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে ইমেল জানানো হয়েছিল।
আপাতত ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা তিন শতাংশ ডিএ পান। রাজ্য বাজেটের দিন আরও তিন শতাংশ ডিএ দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। অর্থাৎ আগামী ১লা মার্চ থেকে ৬ শতাংশ হারে ডিএ পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। সপ্তম বেতন কমিশনের আওতায় ৩৮ শতাংশ হারে ডিএ পান কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা। রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ বৃদ্ধির ঘোষমার পরও কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে ব্যবধানে ফারাক ৩২ শতাংশ।
ডিএ মামলা বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। ১৫ মার্চ এই মামলার শুনানি রয়েছে। সেদিনই চূড়ান্ত শুনানি হবে বলে জানিয়েছে বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি হৃষিকেশ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। নবান্নের যুক্তি, কেন্দ্রীয় হারে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ দেওয়ার ক্ষমতা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কোষাগারে নেই। অর্থের সংস্থাং অনুযায়ী কর্মীদের ডিএ বৃদ্ধি করা হবে।