নবান্নের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া রাজ্যপাল নিয়োগ হলে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে আর্থিক অবরোধ শুরু করবেন তিনি। উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপাল-নবান্ন সংঘাতের আবহেই শিক্ষক দিবসের দিন এই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তারপরও উপাচার্য নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল তথা রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য সিভি আনন্দ বোস। যার বিরুদ্ধে মামলা করে রাজ্য সরকার। এরপরই উপাচার্য খুঁজতে সার্চ কমিটি গড়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এবার কার্যত মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারিকে বাস্তবায়িত করতে আসরে নবান্ন। বুধবার রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অফিসারদের নিয়ে বৈঠক করে অর্থ দফতর। মমতা সেই হুঁশিয়ারিকেই কাজে পরিণত করবেন কিনা, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাপানউতোর শুরু হয়েছিল। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকেই নাকি সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, এবার থেকে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অধ্যাপক সহ অন্যান্য কর্মীদের বেতন দেবে সরাসরি রাজ্য সরকার। সরকারি কোষাগার থেকে সেই টাকা দেওয়া হবে। জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ডের ক্ষেত্রেও কিছু পরিবর্তনের ভাবনা রয়েছে রাজ্য সরকারের।
এতদিন সরকার বিশ্ববিদ্যালগুলির অ্যাকাউন্টে এককালীন অনুদান দিত। সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অধ্যাপক সহ বাকি কর্মচারীদের বেতন দিতেন।
এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটি, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়, ডায়মন্ড হারবার উইমেন্স ইউনিভার্সিটি, কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়, মালদহ বিশ্ববিদ্যালয়, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় এবং সিধু কানহু বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অফিসাররা।
রাজ্যপাল মনোনিত কোনও আচার্যকেই এই বৈঠকে আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
নয়া পদক্ষেপ মাধ্যমে আদতে রাজ্যপাল তথা রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য সিভি আনন্দ বোসের ক্ষমতা খর্বের ইঙ্গিত বলেই মনে করা হচ্ছে।