মমতা সরকার বনাম রাজ্যপাল দৌত্যে নয়া মোড়। রাজ্যপালকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। এদিন নিজস্ব টুইটার হ্যান্ডেলে রাজ্যপাল লেখেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রীর চিঠির প্রত্যুত্তর পাঠিয়েছেন। মমতাকে পাঠানো চিঠির ছবি টুইটও করেছেন রাজ্যপাল। চিঠিতে মমতাকে ‘একসঙ্গে কাজ করে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার’ বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজভবনে ডেকে পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চেয়ে মমতাকে ডেকে পাঠালেন বলে নিজেই টুইট করে জানিয়েছেন রাজ্যপাল। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদ ঘিরে যেভাবে বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে বাংলা, সেই প্রেক্ষিতে সোমবার মুখ্যসচিব ও ডিজিকে তলব করেছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু তাঁরা না আসায় মুখ্যমন্ত্রীকে ডেকে পাঠালেন বলে টুইটারে লিখেছেন রাজ্যপাল।
আরও পড়ুন: ‘বিজেপি টাকা দিয়ে বাংলায় হিংসা ছড়াচ্ছে’, বিস্ফোরক অভিযোগ মমতার
সোমবার টুইটারে এ প্রসঙ্গে জগদীপ ধনকড় লিখেছেন, ‘‘রাজ্যের এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীকে মঙ্গলবার ডেকে পাঠিয়েছি রাজভবনে। উনি ওঁর সময় মতোই আসুন। মুখ্যসচিব ও ডিজির থেকে কোনও সাড়া পেলাম না। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক’’। অন্যদিকে, এদিন রাজ্যপালকে চিঠি পাঠান মুখ্যমন্ত্রী।মমতার চিঠি গ্রহণ করার পর এদিন টুইট করে রাজ্যপাল জানান, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর চিঠির জবাব দিয়েছি। আগামিকাল (মঙ্গলবার) ওঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য অপেক্ষা করছি। জনস্বার্থে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি’’।
আরও পড়ুন: উত্তাল বাংলা, মমতা সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
উল্লেখ্য, সোমবার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে কলকাতার রাজপথে মহামিছিলে হাঁটেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ প্রসঙ্গে সমালোচনা করে রাজ্যপাল টুইটারে লেখেন, ‘‘এটা অসাংবিধানিক। এ ধরনের আচরণ থেকে বিরত থাকুন’’। এদিকে, রাজ্যপালের উপর ক্ষোভ উগরে এদিন জনতার উদ্দেশে মিছিল শেষে জোড়াসাঁকোতে মমতা বলেন, ‘‘গণ আন্দোলন করুন। সই সংগ্রহ করুন। রক্ত দিয়ে নাম লিখুন। লক্ষ-লক্ষ কোটি কোটি চিঠি দেন। রাজ্যপালের কাছে যান, অনেক ভাষণ দেন উনি। রাষ্ট্রপতির কাছে যান’’। এর আগেও রাজ্যপালকে নিশানা করে সরব হয়েছিলেন মমতা। বিজেপির হয়ে রাজ্যপাল কাজ করছে বলে তোপ দেগেছে তৃণমূল। সেই প্রেক্ষিতে সিএএ প্রতিবাদ ঘিরে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে যেভাবে সোচ্চার হচ্ছেন রাজ্যপাল, তাতে এই সংঘাত পর্ব নতুন করে জল-হাওয়া পেল বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ।