ভোটের মুখে চাপে পড়ে বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলির দাবি মেনে নিল রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্যসাথী পরিষেবা নিশ্চিত করতে সরকারি চিকিৎসার দর বাড়াল প্রশাসন। ৩৩টি চিকিৎসা পরিষেবার প্যাকেজ ১৫-২০ শতাংশ হারে দর বাড়ানো হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম মঙ্গলবার বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলির সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠকের পর আলাপনবাবু জানান, ‘‘সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, হাসপাতাল-নার্সিংহোমের পরিচালকদের সঙ্গে পরামর্শ করে স্বাস্থ্যসাথীর বিভিন্ন প্যাকেজ রেট সংশোধন করা হবে। তাদের প্রতি আর্জি ছিল, স্বাস্থ্যসাথীর পরিষেবা দিন। রোগী ফেরাবেন না। কর্তৃপক্ষদের দাবি ছিল, চিকিৎসা-দর যেন বাণিজ্যসম্মত হয়। উভয়পক্ষের আলোচনার পরে কিছু প্যাকেজে রেট বাড়ানো গিয়েছে। ডিসচার্জ এবং অ্যাপ্রুভালের পদ্ধতি দ্রুততর করবে সরকার।’’
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যে ১,৫৩৭টি বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমে এই প্রকল্পের সুবিধা মিলছে। এদের মধ্যে নতুন করে ৪২৫টি বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোম স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় এসেছে। বেড়েছে বেড সংখ্যাও। এই মুহূর্তে দৈনিক গড় ৩,৭০০ মানুষ স্বাস্থ্যসাথীর পরিষেবা পাচ্ছেন। তার জন্য দৈনিক সরকারের খরচ হচ্ছে ৭ কোটি টাকা। এখনও পর্যন্ত ২ কোটির বেশি পরিবার স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় এসেছে। ৬৭ লক্ষ মানুষকে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড দেওয়া হয়েছে। আরও প্রায় ৮০ লক্ষ মানুষ এর আওতায় আসবেন বলে জানিয়েছেন আলাপনবাবু।
তবে প্যাকেজ রেট বাড়ানোর ফলে প্রায় ২০০ কোটি টাকা খরচ বাড়বে রাজ্য সরকারের। মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, "বার্ষিক রাজ্যের কোষাগার থেকে আড়াই থেকে তিন হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। যত বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে এই প্রকল্প পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা আমরা করছি। সেখান দু-চারটে ফিরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। তবে সমস্ত সমস্যা মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা চলছে।"