একুশের ভোটে পাহাড় দখলে মরিয়া শাসকদল তৃণমূল। মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুংকে হাতে রাখতে এবার কৌশলী চাল রাজ্য সরকারের। ভোটের মুখে গুরুংয়ের বিরুদ্ধে খুন ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা ছাড়া বাকি সব মামলা তুলে নেওয়া হল বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, পাহাড় এবং তরাই-ডুয়ার্সের তিন জেলায় নিম্ন আদালতগুলিতে গুরুংয়ের মাথা ঝুলে থাকা ৭০টির মতো মামলা প্রত্যাহারের আর্জি জানিয়েছে রাজ্য সরকার। বেশ কিছু প্রত্যাহারও করে নেওয়া হয়েছে।
কিন্তু পুলিশ আধিকারিক অমিতাভ মালিক-সহ একাধিক খুন ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ, দেশদ্রোহিতার জন্য ইউএপিএ মামলা গুলি প্রত্যাহার করা হয়নি বলে জানা গিয়েছে। সেই মামলাগুলি প্রত্যাহার করা যাবে না। ইতিমধ্যেই মামলা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে নিম্ন আদালতগুলিতে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, গুরুংয়ের তৃণমূল ঘনিষ্ঠতা নিয়ে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল বিজেপি। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হলেই তাঁর বিরুদ্ধে কমিশনে অভিযোগ জানাতে পারে গেরুয়া শিবির। সেইসময় রাজ্যের ক্ষমতা চলে যাবে নির্বাচন কমিশনের হাতে। ফৌজদারি মামলায় গ্রেফতার হতে পারেন গুরুং। সেই আশঙ্কাতেই দ্রুত মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত রাজ্যের।
জেলে যাব, কিন্তু মমতাকেই ফের মুখ্যমন্ত্রী দেখতে চাই। কলকাতায় এসে একুশের ভোটে তৃণমূলের সঙ্গে জোটের ঘোষণা করেছিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার পলাতক নেতা গুরুং। একইসঙ্গে গোর্খাল্যান্ড নিয়ে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ শিবিরের বিরুদ্ধে। জানিয়ে ছিলেন, তিনি এনডিএ-র সঙ্গে নেই। বিজেপি এবং মোদী-শাহ গোর্খাল্যান্ড নিয়ে প্রতিশ্রুতি পূরণ করেননি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিশ্রুতি রাখতে জানেন। তাই বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে মমতার পাশে থেকেই লড়তে চান।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন