পঞ্চায়েত ভোটের ফল ঘোষণার রাতেও অশান্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে জড়ালেন আইএসএফ কর্মীরা। অভিযোগ, পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা নিয়ে হামলা করেন কয়েক জন আইএসএফ কর্মী। গন্ডগোলে একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহত হয়েছেন বলে খবর। পাশাপাশি আইএসএফের কয়েক জন কর্মীও জখম হয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে। শেষ খবর পাওয়া অনুযায়ী, দুজন আইএসএফ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।
জানা গেছে, গন্ডগোলের জেরে গণনাকেন্দ্রে আটকে পড়েন আরাবুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে হাকিমুল ইসলাম। একের পর এক বোমা বিস্ফোরণে তুলকালাম কাঁঠালিয়া অঞ্চল। পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়েছে বলে অভিযোগ আইএসএফের। অন্যদিকে, তৃণমূলের দাবি আইএসএফ পুলিশ ও তৃণমূল নেতাকর্মীদের উপরে হামলা চালিয়েছে। খবর পাওয়া যাচ্ছে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও তাঁর দেহরক্ষী।
ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের কাঁঠালিয়া স্কুলে গণনা চলছিল এদিন। সেখানেই রাতে চলছিল জেলা পরিষদের আসনের ভোট গণনা। মোট ৩টি আসনের গণনা চলছিল। তার মধ্যে ২টি আসনের ফল ঘোষণা হয়ে যায়। একটি আসনে জেতে আইএসএফ। অন্যটিতে জেতে তৃণমূল। তৃতীয় আসনের গণনার সময়েই গন্ডগোলের সূত্রপাত। আইএসএফের তরফে দাবি করা হয়েছে ৫ হাজার ভোটে আইএসএফ এগিয়ে গিয়েছে বলার কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনশোরও কিছু বেশি ভোটে তিনি হেরে গিয়েছেন বলে জানানো হয়।
আরও পড়ুন ‘পুলিশ দিয়ে গণনাকেন্দ্রেও ছাপ্পাভোট তৃণমূলের?’ মারাত্মক অভিযোগ শুভেন্দুর
এতেই শুরু হয়ে যায় তৃণমূল ও আইএসএফ সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ। গণনাকেন্দ্রের মধ্যেই দুপক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়ে যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, তখন চলে গুলি-বোমাবাজি। তাতেই গুলিবিদ্ধ হন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার এক অফিসার। গুলি লাগে তাঁর হাতে। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে তাঁর দেহরক্ষীও গুলিবিদ্ধ হন।
আরও পড়ুন মুখ পোড়ালেন মমতার কাছের দুই মন্ত্রী! নাকের ডগার পঞ্চায়েত ছিনিয়ে নিল বিজেপি
সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে উপস্থিত কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও পাল্টা জবাব দেন। উন্মত্ত জনতা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। গণনাকেন্দ্র থেকে কিছুটা দূরে গিয়ে তাঁরা জটলা করেন। রাতের অন্ধকারে ঘনঘন বোমা পড়তে থাকে। পুলিশের পাল্টা গুলিতে কেউ আহত হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বারুইপুর পুলিশ জেলার এসপি বিশাল বাহিনী নিয়ে কাশীপুর থানায় আসেন।