সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ে এবার সার্কুলার জারি রাজ্য পুলিশের শীর্ষ মহলের। এবার থেকে আইনশৃঙ্খার রক্ষার ক্ষেত্রে কোনও গুরুত্বপূর্ণ কাজের দায়িত্ব দেওয়া যাবে না সিভিক ভলান্টিয়ারদের। এমনই নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য পুলিশ। সম্প্রতি সিভিক ভলান্টিয়ারদের দিয়ে স্কুলে পড়ানোর প্রকল্প ঘোষণায় ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল রাজ্য সরকারকে। একটি জেলার প্রাইমারি স্কুলে সিভিক ভলান্টিয়ারদের দিয়ে পড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে শেষমেশ সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে বাধ্য হয় প্রশাসন।
উল্লেখ্য সিভিক ভলান্টিয়াররা কী কাজ করতে পারবেন বা তাঁদের কোন কোন কাজের ক্ষেত্রে দায়িত্ব দেওয়া যাবে এসব নিয়েই বিস্তারিত একটি গাইডলাইন তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ২৯ মার্চের মধ্যে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ে একটি গাইডলাইন তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই মতো এবার গাইডলাইন তৈরি করেছে রাজ্য পুলিশ। শুক্রবার সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ে একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে।
কী বলা হয়েছে সেই সার্কুলারে?
সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এবার থেকে আইনশৃঙ্খলাজনিত কোনও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ব্যবহার করা যাবে না। তাঁরা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে রাজ্য পুলিশের কর্মীদের সহায়তা করতে পারবেন। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন উৎসবের সময় ভিড় নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেও তাঁদের কাজে লাগানো যাবে। এছাড়াও রাস্তার ধারের বেআইনি পার্কিং রুখতেও নজরদারি চালাতে পারবেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার ক্ষেত্রে পুলিশকর্মীদের সাহায্যকারী হিসেবে কাজ করবেন সিভিক ভলান্টিয়াররা।
আরও পড়ুন- আরও চাপে পড়ে গেল রাজ্য সরকার, ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা কেন্দ্রের
সম্প্রতি সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ে জোরদার চর্চা বাড়ে। একটি জেলার প্রাইমারি স্কুলে সিভিক ভলান্টিয়ারদের দিয়ে পড়ানোর একটি প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছিল। যার জেরে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল রাজ্য প্রশাসনকে। সিভিক ভলান্টিয়াররা কীভাবে স্কুলের বাচ্চাদের পড়ানোর দায়িত্ব সামলাবেন, তা নিয়েই ওঠে প্রশ্ন। বিষয়টি নিয়ে প্রবল চাপে পড়ে শেষমেশ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন- পুলিশকর্তা জাহিরে বধূকে চাকরির টোপ-ধর্ষণ, অভিযুক্তের আসল পরিচয় জেনে হতবাক নির্যাতিতা!
সিভিক ভলান্টিয়ারদের একাংশের বিরুদ্ধে প্রায়শই অতি সক্রিয়তার অভিযোগও ওঠে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের নামে বেশ কিছু ক্ষেত্রে তাঁদের নিজেদেরই আইন হাতে তুলে নিতে দেখা গিয়েছে। কখনও আইনভঙ্গকারীকে প্রকাশ্যে মারধর করা থেকে শুরু করে গাড়ি থামিয়ে তোলাবাজিরও অভিযোগ উঠেছে সিভিক ভলান্টিয়াদের একাংশের বিরুদ্ধে। তারপর থেকেই তাঁদের কাজের পরিধি নিয়ন্ত্রণের সওয়াল উঠতে শুরু করে। কলকাতা হাইকোর্ট সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাজের পরিধি ঠিক করতে গাইডলাইন তৈরির নির্দেশ দিয়েছেল রাজ্য পুলিশকে।