মোদী-শাহের পুলিশে আর ভরসা রাখতে পারছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার দিল্লির বঙ্গ ভবনের নিরাপত্তার দায়িত্বে রাজ্য পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই দিল্লির বঙ্গ ভবনের নিরাপত্তার দায়িত্বে রাজ্য পুলিশ।
উল্লেখ্য, তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলেকে দিল্লির চাণক্যপুরীর বঙ্গ ভবনে ঢুকে গুজরাট পুলিশের একটি দল গ্রেফতার করে। যাওযার সময় বঙ্গ ভবনে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরা-সহ ফুটেজও তারা নিয়ে যায়। এই ঘটনার জেরে যরপরনাই ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী গুজরাট পুলিশের বিরুদ্ধে লিখিতভাবে অভিযোগ জানায় রাজ্য সরকার। শুধু তাই নয়, দিল্লি পুলিশের এক পদস্থ কর্তার নামেও অভিযোগ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন। কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি লিখে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন- ‘সামনে পেয়েছি চিঠি ধরিয়েছি’, অমর্ত্য সেনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বিশ্বভারতীর উপাচার্য
এই ঘটনার পর থেকেই দিল্লির বঙ্গ ভবনের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরেই রাজ্যের পুলিশ দিয়ে বঙ্গ ভবনের নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় নবান্ন। শেষমেশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই দিল্লির বঙ্গ ভবনের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিল রাজ্য পুলিশ। তবে রাজ্য পুলিশ দায়িত্ব নিলেও দিল্লির পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেই তাঁরা এই কাজ করবেন।
আরও পড়ুন- ‘আকাশ-সমান ষড়যন্ত্র’, প্যাঁচে পড়ে বললেন কুন্তল, আজ ফের ডাক তাপসকে
প্রসঙ্গ উল্লেখ্য, সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির সরকারি-অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে দিল্লির বঙ্গ ভবনে গুজরাট পুলিশের ঢোক নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ওই অনুষ্ঠান মঞ্চে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীও উপস্থিত ছিলেন।
মুখ্যসচিবকেই এব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকী ওই মঞ্চ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, এবার থেকে বঙ্গ ভবনে ঢুকতে গেলে রাজ্যের পুলিশের অনুমতি নিতে হবে।