চতুর্থ দফার ভোটে যখন কোচবিহারের শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারালেন ৪ জন, তখনই জেলার অন্য প্রান্তে এক বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। পাতলাখাওয়ায় এক বাঁশবাগানে এক বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা খুন করে বাঁশগাছে ঝুলিয়ে দিয়েছে ওই বিজেপি কর্মীকে। পাল্টা, অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
জানা গিয়েছে, মৃত বিজেপি কর্মীর নাম অমল দাস। গেরুয়া শিবিরের দাবি, দলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন অমল। পরিবারের দাবি, শুক্রবার বিকেলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি অমল। শনিবার দুপুরে তাঁর দেহ উদ্ধার হয় একটি বাঁশগাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায়। দেহ উদ্ধার করতে গিয়ে স্থানীয়দের বাধার সম্মুখীন হয় পুলিশ। তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। তৃণমূলের একাধিক বার দলীয় কর্মীকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেছে বিজেপি।
পাল্টা তৃণমূলের দাবি, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে মৃত্যু হয়েছে বিজেপি কর্মীর। এই ঘটনায় কোচবিহার উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এদিন। এদিকে, কোচবিহারের শীতলকুচিতে চতুর্থ দফার ভোটে বাহিনীর গুলিতে মৃত ৪। মৃতেরা তৃণমূলের সমর্থক বলে শনিবার সকাল থেকে সুর চড়িয়েছে শাসক দল। গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন আরও ৪। যদিও আত্মরক্ষায় এই গুলি চালনার ঘটনা। এমনটাই দাবি করেছে সিআইএসএফ।
এই ঘটনার পরে রবিবার শীতলকুচিতে নিহতদের পরিজনদের সঙ্গে দেখা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন দুপুরে ট্যুইট করে এই ঘটনার নিন্দা করেন তৃণমূলের দুই সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।