যাঁর উপর ভোটারদের সুরক্ষা, বুথের নিরাপত্তার দায়িত্ব তিনিই কি না ঈশ্বরের শরণে! এমনটাই হয়েছে বীরভূমে। ভোটগ্রহণের মধ্যেই তারাপীঠে তারা মায়ের শরণে সিআরপিএফ কর্তা। রীতিমতো জওয়ানদের দল নিয়ে গর্ভগৃহে ঢুকে পুজো দিলেন তিনি। জংলা উর্দি পরেই তিনি মা তারার গলায় জবার মালা পরালেন। সেই ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই বিতর্ক তুঙ্গে। প্রশ্নের মুখে পড়েছেন ওই কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধিকারিক।
কোনও আধিকারিক ‘কর্তব্যরত’ অবস্থায় এ ভাবে মন্দিরে দলবল নিয়ে পুজো দিতে যেতে পারেন কি? গোটা ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে কমিশন। এদিকে, বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ সেই পুজো দেওয়ার ভিডিও টুইট করেছেন। তিনি লিখেছেন, "ভোটের ব্যস্ততম সময়ে আশ্চর্যভাবে তারাপীঠে পুজো দিতে দেখা গেল সিআরপিএফের আইজি-কে। এই ঘটনায় সাধারণ মানুষের কাছে খুব চিন্তার বিষয়।"
উল্লেখ্য, গর্ভগৃহে জংলা উর্দি পরেই ঢোকেন ওই সিআরপিএফ কর্তা। তাঁর সঙ্গে থাকা বাহিনীর অন্য সদস্যরাও উর্দি পরে ছিলেন। তার মানে তিনি যে কর্তব্যরত অবস্থায় মন্দিরে গিয়েছেন তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আশ্চর্যজনক ভাবে তিনি যখন পুজো দিচ্ছেন, সেই ছবি ও ভিডিও মোবাইলবন্দি করেন বাহিনীর অন্য জওয়ানরা। তাঁদের সঙ্গে অস্ত্র-শস্ত্রও ছিল। মন্দিরের গর্ভগৃহে এভাবে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করা যায় কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
সবমিলিয়ে ঘটনার জেরে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি টুইট করে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন দিলীপ ঘোষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও ভাইরাল হতেই রিপোর্ট তলব করেছে কমিশন। প্রসঙ্গত, এবার শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণের জন্য শুধুমাত্র বীরভূমের ১১টি আসনের জন্য জেলায় ২২ হাজারের বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান নিয়োগ করেছে কমিশন। কিন্তু বাংলায় ভোট অষ্টমীতে দেখা গেল, বাহিনীর কর্তাই নিজে ভোটের ডিউটি ছেড়ে ঈশ্বরের শরণে!