রাজ্যে চতুর্থ দফার ভোটে রক্তস্নাত হয়েছিল কোচবিহারের শীতলকুচি। জোড়া পাটকি গ্রামের ১২৬ নম্বর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারান চার চারজন তরতাজা যুবক। তারপরই গন্ডগোলের জেরে বন্ধ হয়ে যায় ভোটগ্রহণ। বিনা প্ররোচনায় বাহিনীর বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ তোলেন গ্রামবাসীরা। ক্ষোভে সেই বুথে ভাঙচুর চালায় উন্মত্ত জনতা। আগামী ২৯ এপ্রিল অষ্টম তথা শেষ দফার ভোটের দিন ওই ১২৬ নম্বর বুথে ফের ভোটগ্রহণ হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
গোটা ঘটনায় বিস্তারিত অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় নির্বাচন কমিশন। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালিয়েছিল বলে মেনে নেয় কমিশন। কিন্তু কেন কোন পরিস্থিতিতে তারা গুলি চালাল খতিয়ে দেখার কথা জানায় কমিশন। শীতলকুচির এই ঘটনার পরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। গ্রামবাসীদের অভিযোগ ছিল, বিনা প্ররোচনাতেই গুলি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। এই ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে চলে শাসক-বিরোধী দলগুলির মধ্যে।
তৃণমূল কংগ্রেস কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। মাথাভাঙায় গিয়ে নিহতদের পরিজনদের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আশ্বাস দেন ঘটনার তদন্ত হবে। সেইমতো তদন্তভার নেয় সিআইডি। আগামী ৫ মে-র মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। কমিশন সোমবার জানিয়েছে, আগামী ২৯ এপ্রিল অষ্টম দফার ভোটের দিন শীতলকুচির জোড়া পাটকি গ্রামের ১২৬ নম্বর বুথে পুনরায় ভোটগ্রহণ হবে।