এসএসসি দুর্নীতির তদন্তে এবার সংস্থার দুই প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের। অভিযোগ সুবীরেশ ভট্টাচার্য এসএসসি-র চেয়ারম্যান পদে যোগ দেওয়ার আগে ওই দু'জনকে অবৈধভাবে পরপর পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছিল। ওই দু'জনকে অবৈধভাবে পদ থেকে সরানোর পরেই ওই পদে বসানো হয়েছিল সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে, এমনই দাবি সিবিআই সূত্রের। সুবীরেশ ভট্টাচার্য এসএসসি-র চেয়ারম্যান পদে যোগ দেওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই নিয়োগে চরম দুর্নীতি শুরু হয় বলে দাবি তদন্তকারীদের।
সিবিআইয়ের তলব পেয়ে সোমবার নির্ধারিত সময়েই কলকাতায় সংস্থার সদর দফতর নিজাম প্যালেসে হাজির হয়ে যান এসএসসি-র প্রাক্তন দুই চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন মণ্ডল এবং প্রদীপ কুমার শূর। সিবিআই সূত্রের খবর, এই দু'জনকেই সুবীরেশ ভট্টাচার্যের মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। এই জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে প্রত্যেকের বয়ানও রেকর্ড করা হতে পারে। উল্লেখ্য, দিন দুই আগেই দ্বিতয়বারের জন্য উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য তথা প্রাক্তন এসএসসি-র চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে দ্বিতীয়বারের জন্য হেফাজতে পেয়েছে সিবিআই।
আরও পড়ুন- ‘পুলিশকে ধরে আছাড় মারব, এখানেই মারব’, মমতার মন্ত্রীর বেনজির হুমকিতে তুলকালাম
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এর আগেও একাধিকবার সুবীরেশ ভাট্টাচার্যকে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে জেরা করেছে। যদিও সূত্রের দাবি, জেরায় সহযোগিতা করছেন না সুবীরেশ। বহু প্রশ্নের উত্তর তিনি এড়িয়ে যাচ্ছেন বলে দাবি তদন্তকারীদের। এদিকে, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে এসএসসি-র প্রাক্তন দুই চেয়ারম্যানের নাম পায় সিবিআই। চিত্তরঞ্জন মণ্ডল ও প্রদীপ কুমার শূরও এসএসসি-র দায়িত্ব সামলেছেন। তবে তাঁদের অবৈধভাবে পদ থেকে সরানো হয়েছিল বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
ওই দু'জনের পরেই সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে এসএসসি-র চেয়ারম্যান করে আনা হয়। সুবীরেশ ভট্টাচার্য এসএসসি-র চেয়রম্যান পদে বসার কিছুদিন পর থেকেই নিয়োগে দুর্নীতি শুরু হয়ে যায় বলে দাবি তদন্তকারীদের। সূত্রের দাবি, সোমবার চিত্তরঞ্জন মণ্ডল ও প্রদীপ কুমার শূরের থেকে নিয়োগে দুর্নীতির তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলতে পারে। তাঁদের মুখোমুখি বসানো হতে পারে সুবীরেশ ভট্টাচার্যকেও। সোমবার বেলা ১১টার পরে নিজাম প্যালেসের দফতরে হাজির হন এসএসসি-র প্রাক্তন দুই চেয়ারম্যান।