অবশেষে খোঁজ মিলল গোপাল দলপতির। বর্তমানে দিল্লিতে রয়েছেন গোপাল, শীঘ্রই রাজ্যে ফিরবেন তিনি। একটি সাংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিকে এমনই জানিয়েছেন নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত এই গোপাল দলপতি। হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়কে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন কুন্তল ঘোষ, এমনই দাবি করেছেন গোপাল।
নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর নাম প্রথম প্রকাশ্যে এনেছিলেন কুন্তল ঘোষ। তারপর থেক এক-আধবার সামনে এলেও হঠাৎ বেপাত্তা হয়ে যান গোপাল দলপতি। এরই মধ্যে চাকরি-বিক্রির চক্রে এবার গোপালের স্ত্রী হৈমন্তী গাঙ্গুলীর নাম সামনে এনেছেন কুন্তল ঘোষ। আরও চর্চায় এসেছেন গোপাল। তবে তাঁর হদিশ কিছুতেই মিলছিল না। এমনকী তাঁর স্ত্রী হৈমন্তীরও এখনও পর্যন্ত কোনও খোঁজ নেই।
এবার একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি এই গোপাল দলপতির সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেছিলেন। গোপাল সংবাদমাধ্যমে বলেন, 'সিবিআইকে বলেই দিল্লি এসেছি। মামলা মিটিয়ে ৩-৪ দিনে ফিরব। মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদে সব নথি নিয়ে নেয় কুন্তল। ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্টে নমিনির জায়গায় লেখা ছিল হৈমন্তীর নাম। সেই নাম দেখেই হৈমন্তীর নাম বলছে কুন্তল। নিজেদের কুকীর্তি ঢাকতেই হৈমন্তীর নাম ভাসিয়েছে কুন্তল।'
আরও পড়ুন- ‘লাস্যময়ী’ হৈমন্তী কী ‘সেফ সেল্টারে’? নতুন কী তথ্য পেল CBI?
তাঁর সঙ্গে কী হৈমন্তীর ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে? উত্তরে সংবাদমাধ্যমে গোপাল বলেন, 'আমরা আলাদা থাকি। ডিভোর্সের প্রক্রিয়া চলছে। ৩-৪ তারিখ নাগাদ যাব। ২ তারিখ পর্যন্ত দিল্লিতেই থাকব।' স্ত্রী হৈমন্তীর সঙ্গে দুর্নীতির কোনও যোগ নেই বলেই দাবি করেছেন গোপাল দলপতি। তাহলে নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর নাম নিয়ে তোলপাড় পড়ে গেলেও কেন এখনও অন্তরালে রয়েছেন হৈমন্তী? দুর্নীতিতে তিনি জড়িত না থাকলে কেন প্রকাশ্যে এসে গোটা বিষয়টি তিনি স্পষ্ট করছেন না? এই প্রশ্নের উত্তরে গেপাল বলেন, 'যোগাযোগ করতে পারছি না। ও নিশ্চয়ই সব বলবে। আমিও চেষ্টা করব ওর সঙ্গে কথা বলতে।'