আর কোনও মৌখিক প্রতিশ্রুতি নয়। অবিলম্বে চাকরিতে নিয়োগ করতে হবে। এই দাবিতে বৃহস্পতিবার সকালে সল্টলেক আচার্য সদনের সামনে টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের জেরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি হয়। সকালে আচার্য সদনের সামনে জমায়েত করে আন্দোলন শুরু করেন চাকরি প্রার্থীরা। হাতে প্ল্যাকার্ড, থালা হাতে বসে পড়েন চাকরিপ্রার্থীরা। বিক্ষোভের খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পূর্ব বিধাননগর থানার পুলিশ। নামানো হয় র্যাফ। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়। চ্যাংদোলা করে ভ্যানে তোলা হয় আন্দোলনকারীদের।
ন্যায্য চাকরি পেয়েও নিয়োগ হচ্ছে না। চরম অসুবিধায় উচ্চ প্রাথমিকের চাকরি প্রার্থীরা। এদিন চাকরির দাবিতে আচার্য সাধনের গেটের বাইরে বিক্ষোভ দেখতে শুরু করে দেন চাকরিপ্রার্থীরা। বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। বিক্ষোভকারীদের টেনে হিঁচড়ে সরিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ। বৃ
২০১৬ সালের চাকরি প্রার্থীরা এই নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভ দেখতে শুরু করেন। তাঁদের বক্তব্য, ২০১৪ সালে টেটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল। সেই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ২০১৫ সালে পরীক্ষায় বসেন এই সমস্ত চাকরিপ্রার্থীরা। এরপর ২০১৬ সালে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হয়। তাঁরা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিও পান। কিন্তু চাকরিপ্রার্থীদের অভইযোগ, নিয়োগ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। প্রায় ১৪ হাজার ৩৩৯ শূ্ন্যপদ থাকলেও নিয়োগ হয়নি। দীর্ঘ প্রায় সাড়ে নয় বছর যাবৎ তাঁরা চাকরি থেকে বঞ্চিত বলে দাবি তাঁদের। সেই কারণেই এদিন বিক্ষোভ।
আন্দোলনকারীদের আরও দাবি, হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্বেও এখনও প্যানেল প্রকাশ করা হয়নি। প্যানেল প্রকাশ না করার জন্য তাঁরা চাকরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। প্রায় ২৪৪ দিন ধরে তাঁরা কলকাতার মাতিঙ্গিনি হাজরার মূর্তির সামনে ধরনা দিচ্ছেন। কিন্তু স্কুল সার্ভিস কমিশন তাঁদের দাবিতে কোনওরকম কর্ণপাত করছে না বলে দাবি চাকরিপ্রার্থীদের।
এমত অবস্থায় বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাওয়া ছাড়া তাঁদের আর কোনও রাস্তা নেই বলে জানানো হয়। সেই কারণে নিজেদের দাবি পূরণে এদিন তাঁরা আচার্য সদনের সামনে এসে বিক্ষোভ দেখতে শুরু করেন। যদিও পুলিশ কিছুক্ষণের মধ্যেই এসে তাঁদের ওখান থেকে সরিয়ে দেয়। তবে দুই তরফের ধস্তাধস্তির জেরে ওই এলাকায় কিছুক্ষণের জন্য যান নিয়ন্ত্রণে অসুবিধা হয়।