এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে আদালতে বিস্ফোরক দাবি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের। তিনি নিজে কোনও নিয়োগপত্রে সই করেননি বলে দাবি করেছেন কল্যাণময়। বৃহস্পতিবার নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে তাঁকে ৬ ঘণ্টা জেরার পর গ্রেফতার করে সিবিআই। তদন্তে সিবিআইয়ের দাবি, এসএসসি উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান শান্তিপ্রসাদ সিনহার সুপারিশ অবৈধ নিয়োগপত্রে স্বাক্ষর করতেন কল্যাণময়। এদিন তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে তাঁকে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার আলিপুরে বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করা হয় কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে। আদালতে তিনি জানান, "স্ক্যান করা সই ব্যবহার করা হয়েছে অবৈধ নিয়োগপত্রে। নিজে কোনও স্বাক্ষর করিনি। নিয়োগপত্র দিত স্কুল সার্ভিস কমিশন।" আদালতে এমনটাই দাবি কল্যাণময়ের। তিনি আরও বলেন, "আমি কোনও পরীক্ষা নিই-নি, ইন্টারভিউ নিই-নি, নিয়োগপত্রও দিই-নি।" এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেই কল্যাণময়কে পেশ করা হয় আলিপুর আদালতে। দুজনকে এজলাসে পাশাপাশি বসে নিজেদের মধ্যে কিছু কথা বলতে দেখা যায়।
প্রসঙ্গত, কল্যাণময়ের নির্দেশেই অবৈধ নিয়োগপত্র তৈরি হয়েছিল বলে কলকাতা হাইকোর্টে জানায় প্রাক্তন বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগ কমিটি। এই মামলায় কল্যাণকে জেরা করে সিবিআই। গত ২৩ জুন কল্যাণকে অপসারিত করে শিক্ষা দফতর। তাঁর জায়গায় আসেন রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে সরাসরি যুক্ত! সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়
উল্লেখ্য, ২০১৬ সাল থেকে ৬ বছর ধরে পর্ষদের সভাপতি পদে ছিলেন কল্যাণময়। তার আগে চার বছর পর্ষদের প্রশাসক পদে ছিলেন। কল্যাণময়ের আমলে প্রত্যেক বছরই প্রায় মাধ্যমিকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মতো ঘটনা ঘটে। তবে গাফিলতি নিয়ে কোনও দায় স্বীকার করেনি পর্ষদ।
সিবিআই সূত্রে খবর, উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান শান্তিপ্রসাদ সিনহা নিয়োগের সুপারিশ করতেন। আর তাতে সই করতেন কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। শান্তিপ্রসাদ সিনহাকে আগেই গ্রেফতার করেছে সিবিআই। শান্তিপ্রসাদ এবং কল্যাণময় দুজনের যোগসাজশেই চলত বেআইনি নিয়োগ।