Advertisment

আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বসানোর ভাবনা: শিক্ষামন্ত্রী

West Bengal: ‘আচার্য পদে বসে দীর্ঘদিন ফাইল আটকে রেখে অসহযোগিতা চালান রাজ্যপাল। নানাভাবে শিক্ষাক্ষেত্রে বাধা তৈরি করছেন।'

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Jagdeep Dhankar, Bengal Governor, Raj Bhawan

রাজ্যপাল-শিক্ষামন্ত্রী সৌজন্য সাক্ষাৎ এখন কি উধাও? ফাইল ছবি ট্যুইটার

West Bengal: রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরাতে ভাবনাচিন্তা করছে শিক্ষা দফতর। শুক্রবার সংবাদমাধ্যমকে একথা জানান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁর অভিযোগ, ‘আচার্য পদে বসে দীর্ঘদিন ফাইল আটকে রেখে অসহযোগিতা চালান রাজ্যপাল। নানাভাবে শিক্ষাক্ষেত্রে বাধা তৈরি করছেন। এখন ইউজিসিকে দেখিয়ে হুমকি দিচ্ছেন রাজ্যপাল।‘ শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্য, ‘এই ভাবনা বাস্তবায়িত করতে সাংবিধানিক এবং আইনি পথ খতিয়ে দেখা হবে। নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে আচার্য পদ থেকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে অন্তর্বর্তীকালীন আচার্য পদে বসানো যায় কিনা। খতিয়ে দেখা হবে।‘  

Advertisment

রীতিমতো রাজ্যপালকে তোপ দেগে শিক্ষামন্ত্রীর কটাক্ষ, ‘উনাকে একটা সহযোগিতার জায়গায় আসতে হবে। উনি শিক্ষার সঙ্গে জড়িত কাজ না করে শুধু সামাজিক মাধ্যমে ঘোরাফেরা করেন নিজের পদমর্যাদা ভুলে যাচ্ছেন উনি। অতীতে কোনও রাজ্যপালের সঙ্গে এমনটা হয়নি।‘ এদিকে, রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে তুঙ্গে উঠলো নবান্ন বনাম রাজ ভবন সঙ্ঘাত। উচ্চশিক্ষার হালহকিকত জানতে চলতি সপ্তাহে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য-উপাচার্যদের ডেকেছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সেই ডাকে সাড়া দেয়নি। এতেই চটেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। রীতিমতো ট্যুইট করে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি। রাজ্যের শিক্ষাব্যাবস্থার কঙ্কালসাড় দশার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকেই দায়ী করেন তিনি।

ট্যুইটে তিনি লেখেন, ‘রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা উদ্বেগজনক। কারণ রাজ্যপালের ডাকা বৈঠকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও আচার্য-উপাচার্য উপস্থিত হয়নি। শিক্ষাব্যবস্থায় দলবাজি দেখে আমি স্তম্ভিত।‘ তিনি আরও লিখেছেন, ‘রাজ্যে আইনের নয় শাসকের শাসন চলছে। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় নিজেরদের লোক নিয়োগ করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বিষয়টা তদন্ত করে দেখুক। রাজ্যের হাতে শিক্ষাব্যবস্থা ছেড়ে দিলে চলবে না।‘

জগদীপ ধনকড়ের এভাবে সরব হওয়াকে পাল্টা আক্রমণ করেছে তৃণমূল। দলের সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, ‘রাজ্যপালের ট্যুইট আমাদের বিড়ম্বনার কারণ। রাজনৈতিক নেতারা ট্যুইট করে থাকেন। উনি তো রাজনৈতিক ব্যক্তি নয়। কিছু বলার থাকলে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখতে পারতেন। তাছাড়া শিক্ষা দফতরকে না জানিয়ে উপাচার্যদের চিঠি লিখলে, উপস্থিত থাকা অসুবিধাজনক।‘

অপরদিকে, এই আবহেই এদিন বিকেলে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস। রাজ্যের ঝুলে থাকা পুরসভাগুলোর নির্বাচন দুই দফায় সম্পন্ন করতে উদ্যোগ নিয়েছে কমিশন। সেই উদ্যোগ পর্যালোচনায় এই বৈঠক বলে রাজ ভবন সুত্রে খবর।  

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Governor bratya basu Chief Minister Mamata Chancellor
Advertisment