গত কয়েকদিন ধরেই 'রাজনীতি'তে যোগাযোগে নাম জড়িয়েছে ভারত সেবাশ্রম সংঘ, রামকৃষ্ণ মিশন- ইসকনের মতো ধর্মীয় সংগঠনের। এনিয়ে মন্তব্যও করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাঁর মন্তব্যের পাল্টা মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। শতাব্দি প্রাচীন এই সকল ধর্মীয় সংগঠনের বিরুদ্ধে 'রাজনীতি' যুক্ত থাকার অভিযোগের পক্ষে বিপক্ষে নানা মত ছড়িয়ে পড়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে চায়ের দোকান সর্বত্র চর্চা চলেছে বিস্তর। এবার এই ইস্যুতে মুখ খুললেন রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ।
সংবাদ সংস্থা আইএনএএস-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্বামী সুবীরানন্দ জানিয়েছেন, “রামকৃষ্ণ মিশন 'অরাজনৈতিক' সংস্থা পাশাপাশি এটি একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। স্বামীজির নির্দেশ মেনে সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত সন্ন্যাসীরা কোনও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেন না।”
সংগঠনের তরফে অনুগামীদের ভোটদানকে কোন ভাবে প্রভাবিত করা হয়? এর জবাবে স্বামী সুবীরানন্দ জানান, এ বিষয়ে ভক্তদের পরামর্শ অথবা নির্দেশও কোনটাই দেয় না রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন। তাঁরা স্বাধীনভাবেই তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন" পাশাপাশি তিনি এও বলেছেন, 'রামকৃষ্ণ মিশন একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। যার এক ও এক মাত্র লক্ষ্য নিঃস্বার্থভাবে মানুষের সেবা করা।'
আরও পড়ুন - Abhijit Ganguly: কমিশনের মন্তব্যে মানহানি! হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রমের মতো প্রতিষ্ঠানের সাধু-সন্ন্যাসীদের একাংশের ‘ভূমিকা’ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে পরই জলপাইগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশনে হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে স্বামী সুবীরানন্দ বলেন, ' আমরা সকলেই জানি আশ্রমের সম্পত্তি বা জমি কোনটাই কারুর ব্যক্তিহত নয়। এটা সম্পুর্ণরুপে মানুষের সেবার কাজে নিয়োজিত। আমি প্রশাসনের কাছে এই ধরণের ঘটনা যাতে না না ঘটে তা দেখার অনুরোধ করব'।