চরম অতিমারী আবহে ঘটা করে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়নি ঠিকই, কিন্তু তাই বলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আসরে উপস্থিত হলেন হাফপ্যান্ট পরে! আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়কে (Babul Supriyo) ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে।
যাত্রীদের সুবিধে-অসুবিধের কথা মাথায় রেখেই আসানসোল (Asansol) রেল ডিভিশনের সাবওয়ে উদ্বোধন করা হল সম্প্রতি। সেখানেই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল উদ্বোধনের জন্য। যথাসময়ে মোটর বাইক চালিয়ে তিনি পৌঁছেও গেলেন। কিন্তু যে পোশাকে হাজির হয়েছিলেন, তাতেই রাজ্যের শাসক দলের কাছে সমালোচিত হতে হল বাবুলকে। জানা গিয়েছে, মোটরবাইক নিয়ে ওই সাবওয়েতে একচক্কর ঘুরেই উদ্বোধন পর্ব শেষ করেন তিনি। বাবুলের বাইক-প্রীতির কথা সকলেই জানেন, এমনকী খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। তবে সমস্যার সূত্রপাত অন্য জায়গায়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পরনে ছিল হাফপ্যান্ট।
বুধবার সকালে মহীশিলা কলোনির বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাইক চালিয়ে সোজা বাবুল সুপ্রিয় চলে আসেন আসানসোল ডুরান্ড রেল কলোনিতে। সেখানে রেল লাইনের নিচ দিয়ে গাড়ি চলাচলের জন্য একটি সাবওয়ে তৈরি হয়েছে। যা কিনা আসানসোল রেলপাড়ের সঙ্গে আসানসোল মূল শহরকে যুক্ত করেছে। অনেক দিন ধরেই সাধারণ মানুষের দাবি ছিল ভূগর্ভস্থ ওই পথটি খোলার জন্য। অবশেষে এদিন সেই দাবিপূরণ হওয়ায় খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, তখন থেকেই নাকি এই সাবওয়ে নির্মাণের জন্য সরকারি প্রক্রিয়া শুরু হয় বলে দাবি করেছেন আসানসোলের তৎকালীন মেয়র তথা রানিগঞ্জের বর্তমান তৃণমূল বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিই বাবুলের হাফপ্যান্ট পরে যাওয়া মেনে নিতে পারেননি। অতঃপর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি তিনি।
তাপসবাবুর মন্তব্য, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উদ্যোগেই এই সাবওয়ে নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। আর বাবুল সুপ্রিয় আজ হাফপ্যান্ট পড়ে বালখিল্যপনা করে বেড়াচ্ছেন।"
সমালোচনার পাল্টা উত্তর দিয়েছেন বাবুলও। "রাজ্য সরকারকে বাদ দিয়ে তাপসবাবু নিজে ব্যক্তিগত উদ্যোগে আসানসোলের জন্য কী কী করেছেন, তার সঙ্গে আমার কাজের তুলনা করলেই স্পষ্ট হবে, আসানসোলের মানুষের সঙ্গে বালখিল্যপনাটা কে করছেন", মন্তব্য কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর।