নতুন বছরের শুরুতেই তেড়েফুরে ইনিংস খেলছিল শীত। জানুয়ারির শুরুর দিকে জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়েছিল বাংলায়। কলকাতার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির ঘরে মেনেছিল। তবে সংক্রান্তিতে শীতের দফারফা। ভাঙল ৫১ বছরের রেকর্ড। উষ্ণতম সংক্রান্তির সাক্ষী ২০২৩। অবশ্য কুয়াশার দাপট অব্যাহত।
শনিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এক ধাক্কায় বেড়েছে ৫ ডিগ্রি বেড়ে হয়েছে ১৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি।
২০০০ সালে মকর সংক্রান্তির দিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এবার পারদ বেড়েছে আরও ১.২ ডিগ্রি বেশি। তবে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস রবিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ার কিছুটা বদল ঘটতে পারে। ২ ডিগ্রি নামতে পারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। কিন্তু উষ্ণতা তাতেও স্বাভাবিকের থেকে বেশিই থাকবে।
একটি উচ্চচাপ বলয় বঙ্গোপসাগরে রয়েছে। সেখান থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প উপকূল অঞ্চল সহ কলকাতা এবং দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে প্রবেশ করছে । পাশাপাশি পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব পড়েছে। তাই তাপমাত্রা অনেকটা বেড়েছে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। আগামী ৫ দিন বঙ্গোপসাগরে এই উচ্চচাপ বলয় থাকবে।
উচ্চচাপ বলয় ও পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্ঠি হতে পারে। আগামী ১৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) উপকূলীয় জেলা দুই ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে বৃষ্টির সম্ভবনা। এদিকে ১৮ জানুয়ারি (বুধবার) ওই তিন জেলা সহ কলকাতা ও হাওড়াতেও হালকা বৃষ্টির হতে পারে। বৃষ্টির জেরে পারদ পতন হবে, ফলে ঠা্ডার আঁচও উর্ধ্বমুখী হবে।
হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে রবিবার হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। (AFP)