আষাঢ়ের পাঁচ তারিখ দক্ষিণবঙ্গে পৌঁছল বহু প্রতীক্ষিত মৌসুমি বায়ু। শুক্রবার সকাল থেকেই শহর জুড়ে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত। গতকালই পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছিলেন, সপ্তাহান্তে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা আসার সম্ভাবনা রয়েছে৷ সেই পূর্বাভাস মতোই শুক্রবার সকাল থেকেই দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বজ্রগর্ভ মেঘ থেকে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভবনা। আগামি আটচল্লিশ ঘণ্টায় উত্তর এবং দক্ষিণ দিনাজপুর, পুরুলিয়া, বীরভূম এবং মালদায় বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের।
উত্তর পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে। যার হাত ধরে বর্ষার আগমন বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তবে এবার প্রথম দফায় বৃষ্টির পরিমাণ কম বলেই মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। আজ দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে৷ উত্তরবঙ্গে ইতিমধ্যেই বর্ষা প্রবেশ করেছে। মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে ভাসছে উত্তর সিকিম, ফুঁসছে তিস্তা-সহ সমস্ত নদী। ভারী বৃষ্টির কারণে বন্যার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
তবে প্রশ্ন উঠছে আদৌ কি মিলবে স্বস্তি! দমফাটা ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল হতে হচ্ছে দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দাদের। এবছর রেকর্ড পিছিয়েছে বর্ষা, এমটাই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। তীব্র গরমকে খানিক দমাতে রাজ্যে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত দেখা দিলেও কোনো লাভ হয়নি। বরং ক্রমশ বেড়েছে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। মৌসুমি বায়ুর আগমনে প্রথম দফায় বৃষ্টি কম হলেও, চাদিফাঁটা রোদ থেকে খানিক নিস্তার, পাশাপাশি, তাপমাত্রা কমার প্রবণতা রয়েছে।