জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ। তবে বিদায় বেলায় পৌঁছেও শেষ ইনিংসে দাপিয়ে ব্যাট করছে শীত। হিসেবমতো এই সময়েই প্রত্যেকবার শীত বিদায় নেয়। তবে এবার তার অন্যথা হল। শেষ ইনিংসে একের পর এক ছক্কা হাঁকাচ্ছে মাঘের ঠান্ডা। বৃহস্পতিবার স্বাভাবিকের তুলনায় নীচে নামল কলকাতার পারদ। দিন কয়েক আগেই শহরবাসীর লেপ-কম্বল তুলে ফেলার মতো পরিস্থিতি হয়েছিল। তবে সপ্তাহ ঘুরতেই স্বমহিমায় ফিরে এল শীত। অতঃপর জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে ফের জবুথবু কলকাতাবাসী।
আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার কলকাতার তাপমাত্রার পারদ যে স্বাভাবিকের তুলনায় নেমেছে, তা ভোরবেলা থেকেই টের পেয়েছেন শহরবাসীরা। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪.১ ডিগ্রি। আর বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ ডিগ্রি। একধাক্কায় প্রায় দুই ডিগ্রি তাপমাত্রা হ্রাস পেয়েছে। বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২২ ডিগ্রি। যা স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় ৪ ডিগ্রি কম। দিন দুয়েক ধরে সকাল থেকেই ঠান্ডার আমেজ বজায় থাকছে।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বেলা বাড়তেই তাপমাত্রার সামান্য উন্নতি হবে। সেই সঙ্গে শীতের আমেজ সামান্য কমার আভাস রয়েছে। তবে ঠান্ডা এখনই বিদায় নিচ্ছে না। কারণ, আগামী কয়েক দিন ১৫ থেকে ১৬ ডিগ্রির মধ্যেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করবে। শুধু দক্ষিণবঙ্গে নয়, উত্তরের জেলাগুলির ক্ষেত্রেও এই একইরকম পূর্বাভাস রয়েছে।
বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার পূর্বাভাস রয়েছে। পরের দিকে আকাশ পরিস্কার হতে পারে। তবে শুক্রবার নাগাদ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ঝাড়খন্ড লাগোয়া জেলাগুলিতে। অন্যদিকে আজ উত্তরবঙ্গে ঘন কুয়াশা থাকছে। মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে ঘন কুয়াশার জন্য সর্তকতা জারি করা হয়েছে। সূত্রের খবর, দৃশ্যমানতা ৫০ থেকে ২০০ মিটারের মধ্যে নেমে আসবে কোথাও কোথাও। আগামিকাল উত্তরবঙ্গে এই ঘন কুয়াশার জন্য দৃশ্যমানতা ২০০ মিটারের কাছাকাছি নেমে আসার ইঙ্গিত রয়েছে।
অন্যদিকে নতুন করে ফেব্রুয়ারীতে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তার আগে বর্তমানে শৈত্যপ্রবাহ চলছে উত্তর-পশ্চিম ভারতের পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চন্ডিগড় দিল্লি-সহ উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশে। কাজেই শীত যে এবছর ক্রিজ থেকে খুব একটা তাড়াতাড়ি বিদায় নিচ্ছে না, তা বলাই বাহুল্য।