বুধবার যাদবপুরের মৃত ছাত্রের বগুলার বাড়িতে যাবে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। মঙ্গলবার সোশাল মিডিয়ায় শাসক দলের তরফে এই ঘোষণা করা হয়েছে। সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, বাণিজ্যমন্ত্রী শশী পাঁজা, অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও যুব সংগঠনের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ-কে নিয়ে গঠিত হয়েছে তৃণমূলের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
মঙ্গলবার সোশাল মিডিয়া পোস্টে জোড়-ফুলের তরফে জানানো হয়েছে যে ,'যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন উজ্জ্বল প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যু আমাদের শুধু মর্মাহতই করেনি, ক্ষুব্ধও করেছে। আগামী কাল আমাদের দলের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, বাণিজ্যমন্ত্রী শশী পাঁজা, অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও যুব সংগঠনের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ শোকাহত পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন। গভীর দুঃখের এই মুহূর্তে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য আমরা তাঁদের পাশে দাঁড়াতে চাই।'
বিশ্ববিদ্যালয়ে ব়্যাগিং, হস্টেলে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনা এদিন নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে তৃণমূল। এক্স পোস্টে লেখা হয়েছে, 'ঐক্যে, দুঃখে এবং অটল সংকল্পে আমরা বলি: আর র্যাগিং নয়। আর কোনও কষ্ট নয়।'
সোমবারই মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যে, 'যারা ছেলেটাকে উপর থেকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে, তারা সব মার্ক্সবাদী। এরা কখনও বিজেপি, কখনও কংগ্রেস। ওখানে কিছু আগমার্কা সিপিএম আছে। তারা ছেলেটার জামাকাপড় পর্যন্ত খুলে নিয়েছিল। ওখানে পুলিশ ঢুকতে দেয় না। সিসিটিভি লাগাতে দেয় না। র্যাগিং করে। যাদবপুর এখন আতঙ্কপুর। অনেক জায়গায় গেলেও, যাদবপুরে আমি যেতে চাই না।'
গত ১০ তারিখ যাদবপুরের পড়ুয়ার মৃত্যুর পর তাঁর বাবার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। দোষীদের কড়া শাস্তির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে তদন্তে নেমে যাদপুরেরই তিন অভিযুক্ত ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কারা এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত তা খুঁজে বার করার চেষ্টা করছে লালবাজার।