টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন বিতর্কে ফের সোচ্চার তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র। সিবিআই এবং লোকসভার এথিক্স কমিটির সব প্রশ্নের উত্তর দিতে তিনি তৈরি রয়েছেন বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন। তবে একথা জানিয়েও কেন্দ্রের শাসকদলকে টিপ্পনি দিতেও ছাড়েননি মহুয়া।
এক্স হ্যান্ডেলে এদিন মহুয়া মৈত্র লিখেছেন, "আমি সিবিআই এবং এথিক্স কমিটির (যেটিতে বিজেপির নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য আছে) প্রশ্নের উত্তর দিতে তৈরি, যদি তাঁরা আমাকে ফোন করেন। তবে আদানি-নির্দেশিত মিডিয়ার সার্কাস ট্রায়াল বা বিজেপি ট্রোলের উত্তর দেওয়ার জন্য আমার সময় বা আগ্রহ নেই। আমি নদিয়ায় দুর্গাপূজা উপভোগ করছি। শুভ ষষ্ঠী।"
হিরানন্দানি গ্রুপের সিইও দর্শন হিরানন্দানি লোকসভার এথিক্স কমিটির কাছে একটি হলফনামায় দাবি করেছেন, প্রয়োজনে নিজের স্বপক্ষে প্রশ্ন তুলতে তৃণমূল সাংসদ মহুয়াই তাঁকে নিজের সংসদের লগইন ও পাসওয়ার্ড দিয়েছিলেন। দর্শনের সেই হলফনামার একদিন পরেই এমন মন্তব্য করলেন মহুয়া।
বিজেপির তোলা অভিযোগ কার্যত স্বীকার করেই নিয়েছেন ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানি। বৃহস্পতিবার সংসদের এথিক্স কমিটির কাছে হলফনামা জমা দিয়েছেন দুবাইস্থিত ওই ব্যবসায়ী। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন, প্রয়োজনে নিজের স্বপক্ষে প্রশ্ন তুলতে তৃণমূল সাংসদ মহুয়াই তাঁকে নিজের সংসদের লগইন ও পাসওয়ার্ড দিয়েছিলেন।
এর আগে বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে দুটি চিঠি দিয়েছিলেন। একটি চিঠি তিনি লিখেছিলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে। ওই চিঠিতে তাঁর দাবি ছিল, "হিরানন্দানি গ্রুপের স্বার্থ রক্ষার জন্য মৈত্র ঘুষ নিয়েছিলেন।" অন্য চিঠিটি তিনি দিয়েছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে। মহুয়ার বিরুদ্ধে তদন্তের আবেদন রেখেছিলেন সেই চিঠিতে। লোকসভার জন্য মহুয়া মৈত্রের লগ-ইন শংসাপত্রগুলির আইপি ঠিকানাগুলি অন্য কেউ অ্যাক্সেস করেছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখতেই তদন্ত প্রয়োজন বলে চিঠিতে জানিয়েছিলেন দুবে।
আরও পড়ুন- হীরানন্দানির বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি! চাপ বাড়তেই পাল্টা মুখ খুললেন তৃণমূলের মহুয়া
এদিকে মহুয়া মৈত্র তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে, দর্শনকে তাঁর "প্রিয় বন্ধু" বলে অভিহিত করেছেন। তাঁর দাবি, "তাঁদের সমস্ত ব্যবসা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করার হুমকি দেওয়া হয়েছিল… তাঁদের বলা হয়েছিল যে তাঁরা শেষ হয়ে যাবে, সিবিআই অভিযান চালাবে। সমস্ত সরকারি ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে এবং সমস্ত PSU ব্যাঙ্কের টাকা আসা অবিলম্বে বন্ধ হয়ে যাবে।”