New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/06/lead-wb.jpg)
এক্সপ্রেস ফোটো- শশী ঘোষ
বিকল্প জীবিকার খোঁজ করার মুখেই হানা দিন আমফান। ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে চুরমার হয়েছে তাঁদের জীবন। উড়ে গিয়েছে বাড়ির ছাদ। ঘরবন্দি জীবন হয়েছে জলবন্দি।
এক্সপ্রেস ফোটো- শশী ঘোষ
জীবিকা বলতে দিনমজুরি। কিন্তু লকডাউনের ফলে সেই কাজ বন্ধ হয়েছে বহুদিন। বিকল্প জীবিকার খোঁজ করার মুখেই হানা দিন আমফান। ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে চুরমার হয়েছে তাঁদের জীবন। উড়ে গিয়েছে বাড়ির ছাদ। ঘরবন্দি জীবন হয়েছে জলবন্দি।
এমনটাই চিত্র বারাসাত সারদা পল্লীর বস্তিতে। জানা গিয়েছে এখনও কোনও সরকারি সাহায্য সেখানে পৌছয়নি। ব্যবস্থা নেই পানীয় জলেরও। দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের দিন কাটছে একবেলা খেয়েই। ঘূর্ণিঝড় আমফান পেরিয়ে দুই সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। কিন্তু এখনও জলমগ্ন এই এলাকার একাধিক ওয়ার্ড।
এদিকে জলে ভিজে একসার হয়েছে বই-খাতা। পরিবারের লোকেদের চিন্তা শুধু জীবন নিয়ে নয়। বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ নিয়েও। মাথার ছাদ, মুখের খাবারের পর যদি শিক্ষাও না থাকে তাহলে শিশুদের আগামী জীবন কী হবে তা ভেবেই শিউড়ে উঠছেন মা-বাবারা।
বস্তিবাসীরা অভিযোগ করেন যে প্রশাসন তাঁদের জন্য জল বা খাবার দেয়নি। এখানকার লোকেরা বলছেন যে এটি যদি চলতে তাহকে থাকে তবে একদিন প্রত্যেককেই মারা পড়বেন। ঝড় নেমে আসা জীবনে আবার কবে আসবে স্বাভাবিক দিন, সেই আলোর পথযাত্রী হতেই দিন গুনছেন তাঁরা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন