ফের বড়সড় দুর্ঘটনা অন্ডালের কোলিয়ারিতে। আচমকা বয়লার খারাপ হওয়ায় খনির নীচে আটক হয়ে পড়েন ৭০ জন শ্রমিক। এমনিতে কোলিয়ারিতে কাজ করা অর্থই হল জীবন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়াই করে যাওয়া। অন্ধকার কূপের মধ্যে এহেন অবস্থায় হঠাৎ করেই খারাপ হয়ে যায় বয়লার। ফলত খনির মধ্যেই আটকে পড়েন কর্মরত শ্রমিকেরা। ঘটনার পর চাঞ্চল্য ছড়ায় কোলিয়ারিতে। অবশেষে চার ঘন্টা পর খনি থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে ৭০ জন শ্রমিককে। প্রত্যেকের অবস্থা স্থিতিশীল, এমনটাই খবর কয়লাখনি সূত্রে।
ঠিক কী ঘটেছিল?
ঘটনাটি ঘটেছে অন্ডালের কাজরা এলাকার মুকুন্দপুর পড়াসকোল ইস্ট কোলিয়ারিতে। জানা গিয়েছে, শনিবার রাতের শিফটের জন্য প্রায় সত্তর জন শ্রমিক খননকার্যের জন্য নীচে যান। সে সময় নিরাপত্তা অফিসার গৌতম সাহার নির্দেশে বয়লার সাফাই করা শুরু করলে বন্ধ হয়ে যায় স্টিম, আটকে যায় ডুলি। ফলে খনিতেই আটকে পড়েন সত্তর জন শ্রমিক, এমনটাই অভিযোগ করলেন কয়লা কাদান শ্রমিক কংগ্রেসের নেতা গৌতম মণ্ডল।
এই ঘটনার পর পরই চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা কোলিয়ারি জুড়ে। রাতের শিফট সেরে যাদের সকাল সাতটায় খনির ওপরে উঠে আসার কথা, বেলা সাড়ে দশটা পর্যন্ত তাঁদের খনির ওপরে ওঠানো সম্ভব হয়নি। জানা গিয়েছে, কোলিয়ারির সমস্ত শ্রমিক সংগঠনের সহযোগিতায় বয়লার শুরু করে ডুলি করে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে শ্রমিকদের।
সাইনবোর্ড থাকা সত্ত্বেও এড়ানো গেল না বিপদ। ছবি- অনির্বাণ কর্মকার
যদিও এই ঘটনা স্বীকার করেননি কোলিয়ারির এজেন্ট সত্যকান্ত আনন্দ, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েও কথা বলতে অস্বীকার করেন তিনি। তবে এই ঘটনা পরোক্ষভাবে স্বীকার করেছেন কোলিয়ারির ইঞ্জিনিয়ার প্রসূন সাহা। ইতিমধ্যেই নিরাপত্তা অফিসারের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ সামিল হন খনি কর্মীরা। এর জেরে সকাল থেকেই খনির কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ব্যাহত হয় উৎপাদন।