হুমকির দেওয়া, মারধরের অভিযোগের মামলায় মঙ্গলবার অনুব্রত মণ্ডলকে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে দুবরাজপুর আদালত। সোমবারই বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতিকে রাজধানীতে নিয়ে গিয়ে জেরার জন্য ইডি-কে অনুমতি দিয়েছিল দিল্লির আদালত। এদিকে তার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই অনুব্রতর পুলিশ হেফাজত মঞ্জর হল। ফলে কেষ্টর দিল্লি-যাত্রায় জটিলতা বাড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে।
২০১৪ সালের মামলায় মঙ্গলবার দুবরাজপুরের আদালতে পেশ করা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। এদিন সাতসকালে আসানসোল জেল থেকে অনুব্রতকে নিয়ে যাওয়া হয় বীরভূমের দুবরাজপুরের উদ্দেশে। আট বছরের পুরনো মামলায় আজ তাঁকে আদালতে তোলা হচ্ছে।
২০১৪ সালের ৩ জুন এক পুলিশ আধিকারিকের বোমায় জখম হওয়ার ঘটনায় নাম উঠে আসে বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতির। সেই মামলা আদালতে বিচারাধীন। গতকালই অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার অনুমতি পেয়ে গিয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি ইডি। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত অনুব্রতকে রাজধানীতে নিয়ে এনে জেরার করার ছাড়পত্র দিয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, তারা এখনও আদালতের নির্দেশের কপি পাননি। পেলেই তা আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষকে দিয়ে অনুব্রতকে দিল্লিতে নিয়ে যাবেন।
আরও পড়ুন দিল্লির কোর্টে বিরাট ধাক্কা কেষ্টর! কোনও সওয়ালই ধোপে টিকল না
দিল্লিতেই তিহার জেলে বন্দি অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। অনুমান, সায়গল-অনুব্রতকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে। তার মধ্যেই দুবরাজপুর আদালতে পেশ করা হয় অনুব্রতকে। এতদিন পাঁচটি গাড়ির কনভয়ে অনুব্রতকে দুবরাজপুরের উদ্দেশে নিয়ে যান বীরভূম জেলা পুলিশের আধিকারিকরা। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে জেল চত্বর।
দুবরাজপুর আদালতেও কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী করা হয়েছে। পুলিশ-কমব্যাট ফোর্সে ছেয়ে গিয়েছে আদালত চত্বর। এদিকে, অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার জন্য আদালতের নির্দেশের পর বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, "অনুব্রত মণ্ডল যে কাজ করেছেন তাতে তো ওনার তিহারেই যাওয়ার কথা। কতদিন আর পয়সা খরচ করে আটকে রাখবেন। তিহারে একটু বিহার করে আসুক কিছুদিন। এতদিন তো লোককে চড়াম চড়াম, গুড় বাতাসা অনেক কিছুই খাইয়েছেন। এবার তিহারের জল বাতাস খেয়ে আসুন। পাপ বাপকেও ছাড়ে না। আমরা আগেই বলেছি, যত বড় চোর হোক বা যত বড় ধেড়ে ইঁদুর হোক কেউ ছাড়া পাবে না। এই অন্যায় যারা করেছে, গরুর টাকা, চাকরির টাকা, কয়লার টাকা খেয়েছে, জেলে যেতেই হবে।"