সামাজিক দূরত্ব বিধি সহ করোনা স্বাস্থ্য নিয়ম-বিধি মেনেই আগামী ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর রাজ্য বিধানসভার বর্ষাকালীন অধিবেশন বসতে চলেছে। গত ১৭ মার্চ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় শেষ অধিবেশন বসেছিল। নিয়ম অনুযায়ী ৬ মাসের মধ্যে ফের অধিবেশন বসাতে হবে। তাই সেপ্টেম্বর মাসে এই বিশেষ অধিবেশন বসতে চলেছে। অধিবেশনে সমস্ত বিধায়করা যোগ দেবেন তা ধরে নিয়েই অতিরিক্ত সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
কোভিড পরিস্থিতির কারণে এবার বিধানসভাj এই বিশেষ অধিবেশনে বিধায়কদের আসন বিন্যাসও নতুন করে হবে। সামাজিক দূরত্ব বিধি বজায় রাখতে অধিবেশন কক্ষের সঙ্গেই দর্শক আসনেও বিধায়কদের বসার বন্দোবস্ত করা হবে। জানা গিয়েছে বিধায়কদের আসনে এক বেঞ্চে ২-৩ জনকে বসানো হতে পারে।
স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, 'সামাজিক দূরত্ব বিধি বজায় রেখে বিধায়কদের আসন সাজানো বড় চ্যালেঞ্জ। তবে তারই চেষ্টা চলছে। দূরত্ব বিধি মানতে, যেসব জায়গা সাধারণত অধিবেশনের সময় ব্যবহার করা হয় না এবং দর্শক গ্যালারিতেও বিধায়কদের বসানো হবে।' বিধায়কদের স্যানিজাইজার ও মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক।
ভিড় এড়াতে এবার প্রত্যেক বিধায়কের সঙ্গে বিধানসভার অন্দরে মাত্র এক জনকেই প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। এ সম্পর্কে স্পিকার বলেছেন যে, 'এবার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা। তাই বিধায়করা একাই বিধানসভায় এসে অধিবেশনে যোগ দেবেন। তবে, প্রয়োজনে বিধায়কদের সুবিধায় তাঁদের সঙ্গে এক জনকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হতে পারে।'
অধিবেশন চলাকালীন কোনও অতিথি বা অন্যান্য জমায়েত করতে দেওয়া হবে না। আগামী সপ্তাহে স্পিকার বিশেষ পরিস্থিতিতে বিধানসভা অধিবেশন নিয়ে সর্বদল বৈঠক ডাকতে পারেন। সেখানেই করোনা স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার বিষয়টি স্পষ্ট করা হবে ও প্রশ্ন-উত্তর পর্ব এই অধিবেশনে হবে কিনা তাও জানানো হতে পারে।
রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের এক নেতার কথায়, 'শাক বা বিরোধী- দুই শিবিরেই বেশ কয়েকজন বর্ষীয়ান বিধায়ক রয়েছেন। তাঁদের সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি। তাই বর্ষীয়ার বিধায়কদের এবার অধিবেশনে যোগ না দেওয়ার জন্যই আমরা অনুরোধ করব।' উল্লেখ্য, মন্ত্রী থেকে শাসক-বিরোধী শিবিরেরে বেশ কয়েকজন বিধায়ক, নেতা করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। ইতিমধ্যেই কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ফলতা ও এগরার তৃণমূলের বিধায়ক তমোনাশ ঘোষ এবং সমরেশ দাসের।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন