আগামী বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে বিধানসভার স্বল্পকালীন অধিবেশন। অধিবেশন চলাকালীন এবার মুখ্যমন্ত্রীর ব্লকে আর অন্য কোনও মন্ত্রী বসবেন না। বিধানসভায় বিধায়কদের বসার জন্য নতুন করে আসন বিন্যাস করা হয়েছে। জেলবন্দি বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ২৭২ নম্বর আসন। বিধানসভা সূত্রে এমনই খবর পাওয়া গিয়েছে।
গত অধিবেশন পর্যন্ত বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঠিক পাশের পরের আসনে বসতেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে আপাতত জেলবন্দি তিনি। মন্ত্রিত্ব থেকে অপসারিত বেহালা পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক। তার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রিসভায় রদবদল করেছেন। বর্তমানে পরিষদীয় দফতরটির দায়িত্বে মন্ত্রিসভার প্রবীণ সদস্য শোভনদেব চট্টোপাধ্য়ায়। কিন্তু, বিধানসভা চলাকালীন তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে বসার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না বলেই খবর।
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর জন্য বরাদ্দ আসন হল ৩০০ নম্বর। নিয়মানুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রীর পাশের আসন ফাঁকা রাখা হয়। কিন্তু এতদিন সেখানে বসতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দীর্ঘ ১১ বছর পরিষদীয় মন্ত্রী ছিলেন পার্থ, তাই তাঁকে ওই ফাঁকা আসনে বসতে দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন ‘বাসের কনডাক্টর হঠাৎ করে ৫০ বিঘার মালিক, এটা হয়?’, বোমা ফাটালেন শোভনদেব
কিন্তু পার্থ চট্টোপাধ্যায় তো এখন জেলবন্দি। তাহলে তাঁর জন্য কেন আসন বরাদ্দ হবে! নিয়মানুযায়ী, যেহেতু তিনি এখনও বিধায়ক তাই তাঁর জন্য আসন বরাদ্দ করতেই হবে। আর প্রাক্তন মন্ত্রী হওয়ার সুবাদে তাঁর জন্য সম্মানজনক আসনই বরাদ্দ করতে হবে। বিধানসভার তরফে জানানো হয়েছে, যেহেতু মন্ত্রীরা ট্রেজারি বেঞ্চে বসেন তাই তার পাশের ব্লকেই পার্থর বসার জন্য আসন বরাদ্দ করা হয়েছে।
জেলবন্দি বলে বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দিতে পারবেন না পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে তাঁর জন্য আসন বরাদ্দ করতেই হবে। সেই আসন খালিই থাকবে।