মঙ্গলবার বিধানসভার অধিবেশন বসতেই ধুন্ধুমার। অধিবেশন শুরুর আগেই এ দিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মুলতবি প্রস্তাব পেশ করেছিলেন। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে আলোচনার দাবি করে বিজেপি। তবে বিজেপির আনা সেই মূলতবি প্রস্তাবে সম্মতি অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরই অধিবেশন শুরু হলে হইহট্টগোল বাঁধায় বিজেপি। পোস্টার হাতে অধিবেশন কক্ষে ঢুকে পড়েন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি বিধায়করা। কোথায় মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক? কী হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের? পদ্ম বিধায়কদের তরফে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ও ট্রেজারি বেঞ্চের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়া হয়।
তবে, নিরুত্তোর ছিল ট্রেজারি বেঞ্চ। অধিবেশন কক্ষে প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান তুলতে বার বার নিষেধ করতে থাকেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। শেষমেশ মিনিট দশেক ধরে স্লোগান তোলার পর সভা বয়কট করেন বিজেপি বিধায়করা। বাইরের লবিতে ও বিধানসভার গেটের সামনে স্লোগান তুলতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা।
বিরোধী দলের বিধায়কদের আচরণের জবাবে বিধানসভায় তৃণমূলের মুখপাত্র ও বিধানসভায় উপ-মুখ্য সচেতক তাপস রায় সংবাদ মাধ্যমে বলেন, 'নারদের টাকা কোথায় গেল? কেন তাঁকে ডাকছে না ইডি? শুভেন্দু আগে জবাব দিক।'
বুধবার ধর্মতলায় বিজেপির সভায় আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তার আগে মঙ্গলবার বিধানসভায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে শাসক বিরোধী লড়াইয়ে আগাম আবহ তৈরি করে রাখলেন শুভেন্দু সহ গোটা গেরুয়া শিবির। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।