লকডাউনের আঁচ পড়েছে কৃষিক্ষেত্রে। চরম সমস্যায় কৃষকরা। ধুঁকছে ক্ষুদ্র, অতি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প। তবে, এইসব ক্ষেত্রকে সাময়িক স্বস্তি দিতে এগিয়ে এল রাজ্যস্তর ব্যাঙ্কগুলো। চলতি মরসুমে খারিফ ঋণের পরমাণ ৪,৪০০ কোটি থেকে বাড়িয়ে প্রায় দ্বিগুণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাজ্যস্তর ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। সেখানেই জানানো হয়েছে, খারিপ খারিফ ঋণের পরমাণ চলতি মরসুমে বাড়িয়ে ১০ হাজার কোটি করা হল।
ক্ষুদ্র, অতি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পেও ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি করে ৭৪ হাজার কোটি করা হয়েছে। সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯০ হাজার কোটি।
আরও পড়ুন- কেন সবচেয়ে বেশি ধাক্কা খেল অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ?
করোনা সংক্রমণ ও লকডাউনের জেরে বিভিন্ন ক্ষেত্র ক্ষতিগ্রস্ত। যেগুলিকে ঋণ প্রদানের মাধ্যমে ক্ষতি মোকাবিলার আবেদনের কথা বলা হচ্ছে। এই ঋণ প্রদান পরিকল্পনা বিষয়ে আলোচনা করতেই রাজ্যস্তর ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠক করেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। বৈঠকে কৃষি, কৃষিজাত ক্ষেত্র, ক্ষুদ্র, অতি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, মৎস, প্রাণিজ সম্পদ উন্নয়ন, সেল্ফ হেল্প গ্রুপ, খাদ্য প্রক্রিকরণ শিল্প, উদ্যানপালন ও রফতানি ক্ষেত্র এই ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে আগ্রাধিকার পাবে বলে জানানো হয়।
ব্যাঙ্কাররা জানান, কিষাণ ক্রেডিট কার্ডে ঋণের মেলার ক্ষেত্রে ৪.৬ মিলিয়ান কৃষক সুবিধা পাবেন। এর আওতায় আসবে ছোট ও প্রান্তিক কৃষকরাও। সেল্ফ হেল্ফ গ্রুপের কভারেজের পরিমাণও এ বছর দ্বিগুণেরও বেশি হবে, যা ৫,১৭,০০০ থেকে বাড়িয়ে প্রায় ১০ লাখ হবে। চলতি আর্থিক বছরে ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ১৫ হাজার কোটি করা হচ্ছে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন