রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার সংগঠনে রদবদল। রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার নতুন সভানেত্রী করা হল ফাল্গুনী পাত্রকে। ওই পদে ছিলেন তনুজা চক্রবর্তী। রাজ্য বিজেপির পক্ষে সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই পরিবর্তন করেছেন।
Advertisment
পশ্চিমবঙ্গ ভারতীয় জনতা পার্টির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী শ্রীমতি ফাল্গুনী পাত্র মহাশয়া নিন্মলিখিত কার্যকর্তাদের সংগঠনের বিভিন্ন দায়িত্বে নিযুক্ত করলেন। pic.twitter.com/d63O85mt8H
নৈহাটি বাসিন্দা ফাল্গুনী পাত্র বহুদিন ধরেই বিজেপির সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। ১৯৯৬ সাল থেকে ফাল্গুনী পাত্র একনিষ্ঠভাবে গেরুয়া পতাকা বহন করছেন। ২০০৩ সালে পঞ্চায়েত সদস্যা নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। তারপর দলের তরফে অঞ্চল ও জেলার বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন। পরবর্তীতে বিজেপির ব্যারাকপুর জেলার সভানেত্রী হন। তার নেতৃত্বে বিজেপি ব্যারাকপুর লোকসভা আসনটি ২০১৯ সালে জেতে বলে পদ্ম শিবিরের নেতৃত্বরা মনে করেন। এরপর দলের রাজ্য সম্পাদিকার দায়িত্বে রয়েছেন ফাল্গুনী। পাশাপাশি সামলাচ্ছিলেন নবদ্বীপ জোনের ইনচার্জের পদও। এবার সংগঠনে পোড়খাওয়া ফাল্গুনী পাত্রকেই দলের মহিলা মোর্চার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হল।
বঙ্গ বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র।
সামনেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে বঙ্গ বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী পদে এই রদবদল যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। লকেট চট্টোপাধ্যায় বা অগ্নিমিত্রা পাল মহিলা মোর্চার দায়িত্বে থাকাকালীন সংগঠনের তরফে বহু আন্দোলন লক্ষ করা যেত। কিন্তু, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে অগ্নিমিত্রাকে সরিয়ে ওই পদ দেওয়া হয় তনুজা চক্রবর্তীকে। এরপর থেকেই মহিলা মোর্চার আন্দোলন তেমনভাবে আর দানা বাঁধতে পারেনি। ফলে দলের অন্দরেই তাঁর নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন ছিল। এছাড়া, সম্প্রতি বঙ্গ সফরে এসে অমিত শাহ রাজ্য সরকার ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে জোরদার লড়াইয়ের নির্দেশ দিয়েছিলেন। গোষ্ঠীকোন্দল ভুলে বঙ্গ বিজেপির সবস্তর ও শাখা সংগঠনগুলিকে একযোগে লড়াই করার কথা বলেছিলেন। তারপুরই মহিলা মোর্চার আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়তে তনুজার বদলে ফাল্গুনীকেই সংগঠনের নেতৃত্বের ভার তুলে দেওয়া হল।