Kolkata News Live Updates: রবিবার সকালে উত্তরপ্রদেশের বারাণসীর চকের 'আত্ম বিশ্বেশ্বর' মন্দিরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মন্দিরে সাজসজ্জা চলাকালীন শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের এলাকায়। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় অন্তত ৭ জন অগ্নিদগ্ধ হন। আহতদের বারাণসীর জিএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং সেখানে তাদের চিকিৎসা চলছে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রাচীন ধর্মীয় স্থাপত্যের আদলে নির্মিত মন্দিরটিতে বহু সামগ্রী ও অংশ বিশেষ আগুনে পুড়ে গেছে। ঘটনাস্থলে রাতেই পৌঁছে যান স্থানীয় বিধায়ক, বিরোধী দলের নেতা এবং পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে কংগ্রেসের উত্তরপ্রদেশ প্রদেশ সভাপতি অজয় রাই সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “বারাণসীতে শ্রী আত্মবিশ্বেশ্বর মহাদেব মন্দিরে আগুন লাগা এবং বহু ভক্তের দগ্ধ হওয়ার খবর অত্যন্ত দুঃখজনক। দুর্ঘটনায় আহতদের দ্রুত আরোগ্যের জন্য আমি বাবা শ্রী কাশী বিশ্বনাথ জি-র কাছে প্রার্থনা করছি।”
দুর্গাপুরের ডিপিএল টাউনশিপে শনিবার রাতে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল। রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ হঠাৎই আগুন লাগে একটি তিনতলা আবাসনে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন তৃতীয় তলাকে পুরোপুরি গ্রাস করে নেয়। সৌভাগ্যক্রমে, ঘটনার সময় কেউ তিনতলা ওই আবাসনে কেউ ছিলেন না। ঘটনার খবর পেয়ে দমকলের চারটি ইঞ্জিন দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। দমকলের প্রাথমিক ধারণা শর্টসার্কিট থেকেই ভবনটিতে আগুন লেগে যায়। আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন আশপাশের বাসিন্দারা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আবাসনটি ডিপিএল কারখানার কর্মীদের। প্রতিটি ফ্লোরে একটি করে পরিবার বসবাস করে।
মহারাষ্ট্রের নাগপুর জেলার কোরাডিতে নির্মাণাধীন মহালক্ষ্মী জগদম্বা মন্দিরে বড়সড় দুর্ঘটনা। শনিবার (৯ আগস্ট) রাতে মন্দিরের প্রধান গেটের স্ল্যাব হঠাৎ ভেঙে পড়ে ১৭ জন শ্রমিক আহত হন। তাদের মধ্যে অন্তত ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।ঘটনার পরপরই স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ, দমকল বাহিনী এবং এনডিআরএফ দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করে। আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এনএমআরডি মেট্রোপলিটন কমিশনার সঞ্জয় মীনা জানান, “প্রায় ১৫-১৭ জন আহত হয়েছেন, তিনজনের অবস্থা গুরুতর। মন্দিরের নির্মাণকাজ এনএমআরডিএ-র তত্ত্বাবধানে ঠিকাদার সংস্থা করছিল। দুর্ঘটনার সঠিক কারণ তদন্তের পর জানা যাবে।”এখনও পর্যন্ত কোনও মৃত্যুর খবর মেলেনি। দুর্ঘটনার পর মন্দির কমপ্লেক্সের চলমান সমস্ত নির্মাণকাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। এদিকে, ধ্বংসাবশেষ সরাতে প্রশাসনের পাশাপাশি আশপাশের বাসিন্দারাও উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছেন। তদন্ত রিপোর্ট আসার পরই পরবর্তী নির্মাণকাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।