প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে আরও কড়া কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার হাইকোর্ট আরও ১৩৯ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিল। এদিন ১৪৬ জন শিক্ষকের আবেদনের শুনানি ছিল আদালতে। তাঁদের মধ্যে ১৩৯ জনের চাকির বাতিলের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি জানিয়ে দেন, এঁদের চাকরি বাতিল করতে হবে। অবিলম্বে বেতন বন্ধের নির্দেশ দেন বিচারপতি।
উল্লেখ্য, প্রত্যেকের চাকরির স্বপক্ষে নথি খতিয়ে দেখে এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। বাকি ৭ জনের চাকরি এখনই বাতিল হয়নি। বিচারপতি জানিয়েছেন, আরও একবার তাঁদের নথি খতিয়ে দেখা হবে। তার পর তাঁদের চাকরি নিয়ে শুনানি হবে। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই ৫৩ জনের চাকরি বাতিল হয়েছিল। বুধবার পর্যন্ত সবমিলিয়ে ১৮২ জনের চাকরি বাতিল করল হাইকোর্ট।
এদিকে, এদিনই আরও ৫৯ জন প্রাথমিক শিক্ষক চাকরি বাঁচাতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার তাঁদের মামলাটি শুনবেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। গত বছর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে ২৬৮ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়েছিল। পরে তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে গেলে শীর্ষ আদালত ওই ২৬৮ জনের চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দেয়। তাঁদের আবেদন হাইকোর্টকে শুনতে বলে সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি: ৫৩ জনের চাকরি গেল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে
সেই মতো বিচারপতি গাঙ্গুলির বেঞ্চে আবেদন করেন অনেক শিক্ষক। তাঁরা হলফনামা দিয়ে নিজের বক্তব্য জানান আদালতে। গত ২৩ ডিসেম্বর ৫৪ জন হলফনামা জমা দেন বিচারপতির সিঙ্গল বেঞ্চে। সেদিন ৫৩ জন আদালতে হাজির ছিলেন। একজন গরহাজির ছিলেন। আদালত হলফনামা খতিয়ে দেখে ৫৩ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয়। যে শিক্ষক অনুপস্থিত ছিলেন তাঁকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন বিচারপতি।