পুরসভার উপনির্বাচনেও জয়জয়কার তৃণমূল কংগ্রেসের। একদিকে, নিয়োগ দুর্নীতি, গরু-কয়লা পাচারের মতো মামলায় জেরবার শাসকদলের নেতৃত্ব, সেই জায়গায় আসানসোল ও বনগাঁ পুরসভায় দুটি ওয়ার্ডে বিজয় নিশান ওড়াল তৃণমূল। বুধবার গণনার পর দুই জায়গাতেই বড় ব্যবধানে জয়ী তৃণমূল প্রার্থীরা। আসানসোলের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছেন মেয়র বিধান উপাধ্যায়। অন্যদিকে, বনগাঁয় ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী পাপাই রাহা।
পার্থ-অনুব্রত কাণ্ডের মধ্যেই পুর-উপনির্বাচনে ফুটল ঘাসফুল। কয়েকদিন আগেই নন্দীগ্রাম ও কাঁথিতে অধিকারীদের শক্ত ঘাঁটিতে সমবায় নির্বাচনে জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। এবার পুরভোটের উপনির্বাচনেও রাজ্যের দুই প্রান্তে দুটি ওয়ার্ডে জয়ী শাসকদলের প্রার্থীরা। আসানসোলে বিধান উপাধ্যায় সাড়ে চার হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। সেখানে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে সিপিএম। একসময়ের শক্ত ঘাঁটি আসানসোলে পুর-উপনির্বাচনে তৃতীয় হলেন বিজেপি প্রার্থী।
অন্যদিকে, বনগাঁয় মতুয়া অধ্যুষিত ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ২,১১৮ ভোটে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী পাপাই রাহা। এখানেও বিজেপির গড় বলা চলে। তবে এই ওয়ার্ডে দ্বিতীয় হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী অরূপ পাল। এদিন গণনার ফল বেরোতেই আসানসোরল ও বনগাঁ উচ্ছ্বাস দেখা যায় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। সবুজ আবির উড়িয়ে উল্লাস করেন তাঁরা। দেখা গেল, পার্থ-কেষ্ট কাণ্ড কোনও প্রভাবই ফেলেনি পুর-উপনির্বাচনে।
আরও পড়ুন ফের বেফাঁস দিলীপ, কলকাতার বাঙালিদের তুলোধনা বিজেপি নেতার
যদিও ভোটের দিন বিরোধীদের দাবি ছিল, শাসকদল ভোটলুঠ করেছে, রিগিং করেছে, ছাপ্পাভোট দিয়েছে। পাল্টা তৃণমূলের দাবি ছিল, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। বিরোধীদের পায়ের তলায় মাটি নেই তাই অপপ্রচার করছে। তবে এটা বলতেই হয়, দুর্নীতি ইস্যুতে শাসকদল যতই চাপে থাকুক, পুর-উপনির্বাচনে বিরাট জয় কিছুটা অক্সিজেন দেবে তৃণমূলকে।