তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ঠেকাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ কনস্টেবল। ঘটনায় তুমুল উত্তেজনা বসিরহাটে। দুই তৃণমূল নেতার বিবাদ ঠেকাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বসিরহাট থানার কনস্টেবল। ঘটনায় তৃণমূল নেতার ছেলে-সহ ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে। উদ্ধার হয়েছে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২ রাউন্ড গুলি।
জানা গিয়েছে, ২ তৃণমূল নেতা শাহানুর মণ্ডল ও সিরাজুল বেশের মধ্যে বিবাদ থেকে গন্ডগোল ছড়ায়। শাহানুর ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। সেই বিবাদ মেটাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন বসিরহাট থানার কনস্টেবল প্রভাত সরকার। সোমবার রাতে এই ঘটনায় ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তৃণমূল নেতার ছেলেই গুলি চালায় বলে অভিযোগ।
বসিরহাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই কনস্টেবল। রাতে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ালে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। ব়্যাফ নামিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। মঙ্গলবার সকালেও এলাকায় বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। অবিলম্বে ব্লক সভাপতিকে গ্রেফতার করতে হবে, এই দাবিতে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
আরও পড়ুন তল্লাশিতে মিলেছে কাড়ি কাড়ি টাকা, মালদার সেই পরিযায়ী শ্রমিকের পেল্লাই বাড়ি দেখলে চক্ষু ছানাবড়া
এধিকে, এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তীব্র নিন্দা করেছে বিরোধী দলগুলি। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, পুলিশের বড় কাজ তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটানো। টাকা-পয়সা তুলে দেওয়া, সংগঠনের কাজ করা, ভোট জেতানো।