রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। সীমান্ত থেকে যেন কেউ এই রাজ্যে প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে কড়া নজরদারির নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই সীমান্তবর্তী রাজ্যে মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সোমবার ঝটিকা সফরে আসেন রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের উচ্চকর্তারা।
করোনায় রাজ্যে বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। সোমবার সেই পরিস্থিতিতে লকডাউন রাজ্যে হেলিকপ্টারে চেপে লালগোলায় আসেন রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র-সহ রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুরজিৎ পুরকায়স্থ। সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মুর্শিদাবাদ রেঞ্জের ডিআইজি মুকেশ কুমার, জেলাশাসক জগদিশ প্রসাদ মিনা, মুর্শিদাবাদ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস, মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার কে. শবরী রাজকুমার। পড়শি দেশ বাংলাদেশ সীমান্তে কীভাবে নজরদারি চলছে এবং কীভাবে করোনা মোকাবিলা করছে মুর্শিদাবাদ জেলা কর্তৃপক্ষ তা সরজমিনে দেখতেই আজ হাজির হন প্রশাসনিক উচ্চপদস্থ কর্তারা।
লকডাউন রাজ্যে হেলিকপ্টারে চেপে লালগোলায় আসেন রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র-সহ আধিকারিকরা। ছবি- পরাগ মজুমদার
আরও পড়ুন: যে যতোই লাটসাহেব হোক, সীমান্ত থেকে কাউকে ঢোকানো যাবে না: মমতা
সোমবার প্রথমে স্থানীয় লালগোলা থানায় নিজেদের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ রুদ্ধদ্বার বৈঠক সারেন পুলিশ প্রধানরা, এমনটাই সূত্রের খবর। বৈঠকে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সীমান্তে কী ধরনের সুরক্ষাব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত তারই একটি ব্লু প্রিন্ট নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ থেকে যাতে কোনোভাবেই অনুপ্রবেশ না ঘটে সেদিকেও কঠোরভাবে দৃষ্টি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে এ দিনের বৈঠকে।
ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক চলার পর লালগোলার বিভিন্ন বর্ডার পয়েন্টগুলি পর্যবেক্ষণ করেন ডিজি, রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেলা শাসক , ডি আই জি এবং জেলার দুই পুলিশ জেলার এস পি। প্রথমে খান্দুয়া পৌঁছে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর উচ্চ পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা সেরে নেন রাজ্যের পুলিশ কর্তারা। পরবর্তীতে বিএসএফের কর্তাদের সঙ্গে নিয়ে সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন তাঁরা। মূলত সীমান্ত পেরিয়ে যাতে কোনও ভাবেই অনুপ্রবেশ না হয় তা চূড়ান্ত করতেই পুলিশ কর্তাদের সীমান্তপরিদর্শন, তা স্পষ্ট এদিনের নজরদারি থেকে এমনটা মত একাংশের।
এরপর আটরশিয়া নামের অপর একটি সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন পুলিশ ও বিএসএফের কর্তারা। ডিজি বীরেন্দ্র বলেন , “করোনা এবং লকডাউন নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমস্ত বিষয়ে কথা হয়েছে। এখানে সব ঠিকঠাক চলছে। মানুষ ঠিক মত রেশন পাচ্ছেন কি না , করোনা ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে কি তাও খতিয়ে দেখা হয়। তবে সীমান্ত পেরিয়ে কোনও ভেবেই যাতে অনুপ্রবেশ না ঘটে সে দিকে কড়া নজর দিতে বলা হয়েছে জেলা পুলিশ প্রশাসনকে"। এদিকে বিএসএফের এক উচ্চপদস্থ আধিকারক বলেন, "আমাদের মূল লক্ষ্য লকডাউন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ থেকে বেআইনি অনুপ্রবেশ যাতে না ঘটে মুর্শিদাবাদ বর্ডার দিয়ে সেদিকে সদা সতর্ক দৃষ্টি রাখা"।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন