করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ঘিরে প্রথম থেকেই তৈরি হয়েছিল বিতর্ক এবং জটিলতা। অবশেষে সোমবার একপ্রকার সে কথাই স্বীকার করে নিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকে তিনি বলেন, ‘‘কোভিড সংক্রাম্ত তথ্য রিপোর্টিংয়ের যে পদ্ধতি আমাদের ছিল, তা খুব জটিল। আমাদের রিপোর্টিং সিস্টেম ঠিক ছিল না। ফলে বেশ কিছু তথ্য এবং পরিসংখ্যান নথিভুক্ত হয়নি। অনিচ্ছাকৃতভাবেই এটা হয়েছিল। তবে এখন এটা বুঝতে পারলাম কোথায় সমস্যাটি হচ্ছিল।"
মুখ্যসচিব এও জানান যে তথ্যে যাতে কোনও ত্রুটি না থাকে সেই কারণে আজ থেকে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা (প্রথম খেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত) প্রকাশ করা হবে। এর আগে প্রতিটি সাংবাদিক বৈঠকে সেই মুহূর্তে যত জন করোনায় ভুগছিলেন সেই সংখ্যা বলা হচ্ছিল। তিনি বলেন, "আমরা এতদিন যা সংখ্যা দিয়েছিলাম তা অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা। আজ থেকে মোট কেসের সংখ্যাও দেব। কারণ বিভিন্ন মহলে এটা নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে।" সোমবার পর্যন্ত রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১২৫৯, এর মধ্যে ২১৮ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন, অ্যাক্টিভ করোনা কেস সুস্থ হওয়ার হার ১৭.৩২ শতাংশ, প্রতি ১০ লক্ষে আক্রান্তের সংখ্যা ১৩.৯৮, প্রতি ১০ লক্ষে মৃত্যু সংখ্যা ১.৪৭।
আরও পড়ুন- বাজার-শপিং মল ছাড়া সব দোকান খুলছে বাংলায়
মুখ্যসচিব আজ এও মেনে নেন যে করোনা পরীক্ষাতেও সমস্যা ছিল। রাজীব সিনহা বলেন, "আমরা পরীক্ষার ক্ষেত্রে পিছিয়ে গেছিলাম কারণ রাজ্যে যথেষ্ট পরীক্ষাগার ছিল না, মাঝে কেন্দ্র থেকে ত্রুটিযুক্ত কিটও আসে। এখনও কিটে সমস্যা চলছে। স্বাস্থ্য সচিব বিষয়টি খুঁটিয়ে দেখেছেন।
আজ থেকে ১০ দিন আগে আমাদের প্রতি ১০ লক্ষে টেস্ট হত ১০৯টি। এখন ২৭৯টি টেস্ট হচ্ছে।"
রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সুরক্ষার দিকেও নজর বাড়ান হয়েছে। মুখ্যসচিবের দেওয়া তথ্য অনুসারে, "৫.৮ লক্ষ পি পি ই দেওয়া হয়েছে। এন ৯৫ মাস্ক ৩.১৫ লক্ষ, ২২ লক্ষ এমনি মাস্ক, ১.২৭ লক্ষ লিটার স্যানিটাইজার, ১১.৫ লক্ষ গ্লাভস দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, ৪৮৬০ জন সরকারি কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে, ৫৭৫৫ হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। আমরা চেষ্টা করছি শিল্পগুলিকে খোলার জন্য চেষ্টা করছি। ১০০৯৬ টা আবেদন পেয়েছি কারখানা খোলার জন্য। ৪৩৪০টিকে সম্মতি দেওয়া হয়েছে। ৫৩৬২টি বাতিল হয়েছে কনটেন্টমেন্ট জোনের জন্য।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন