ভিনরাজ্য় থেকে ঘরে ফেরার পথে বাসেই মৃত্য়ু হল বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকের। মৃত শ্রমিকের দেহের সঙ্গেই এক বাসে করে রাজ্য়ে ফিরলেন বাংলার পরিযায়ীদের একটা দল। জানা যাচ্ছে, মহারাষ্ট্র থেকে ৩৫ জন পরিযায়ী শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারকে নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল একটি বাস। ওই বাসেই মঙ্গলবার মৃত্য়ু হয় পিংলার এক বাসিন্দার।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্য়ক্তি মহারাষ্ট্রের একটি নামী হোটেলে হাউসকিপিং-এর কাজ করতেন। লকডাউনের জেরে আটকে পড়েছিলেন সকলে। শেষমেশ পশ্চিম মেদিনীপুরের অনেক শ্রমিক মিলে বাড়ি ফেরার জন্য় একটি বাস ভাড়া করেন। মঙ্গলবার বাসটি যখন ওড়িশায় ঢোকে, তখন ওই ব্য়ক্তির শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। পথে চিকিৎসার কোনও সুযোগ হয়নি। পরিযায়ী শ্রমিক ভর্তি বাসের মধ্যেই মৃত্যু হয় তাঁর।
আরও পড়ুন: রাজ্যকে না জানিয়েই আসছে শ্রমিক স্পেশাল, মোদীর হস্তক্ষেপ চাইলেন মমতা
বাসের অন্যান্য যাত্রীরা ওড়িশায় রাস্তায় পুলিশকে বিষয়টি জানালে তাঁরা দেহ পরীক্ষা করতে অস্বীকার করেন। ফলে মৃতদেহকে নিয়েই বাসের অন্যান্য শ্রমিকরা বুধবার মেদিনীপুরে পৌঁছোন। দাঁতন এলাকায় বিষয়টি জানানো হলে পুলিশের পক্ষ থেকে মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন মোহনপুর এলাকাতে দেহ নামানোর ব্যবস্থা করা হয়। বুধবার দুপুরে বাসটি মোহনপুর এলাকায় পৌঁছোলে স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে দেহটি বাস থেকে নামিয়ে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় নমুনা সংগ্রহের জন্য।
এ ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কে বাসের অন্য়ান্য় যাত্রীরা। শর্মিষ্ঠা বেরা নামের বাসের এক সহযাত্রীর কথায়, ''আতঙ্ক তো হবেই। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত্যুর কারণ করোনাভাইরাস কিনা তা পরীক্ষা করা হবে। সবদিক থেকে নিশ্চিত হওয়ার পরই পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেওয়া হবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন