শনিবার রাজ্যে করোনায় ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। রবিবার, সেটাই বেড়ে হল ২৭। একইসঙ্গে বাড়ল মৃত্যুহারও। শনিবার রাজ্যে করোনার মৃত্যুর হার ছিল ১.০৪ শতাশ। রবিবার তা সামান্য হলেও বেড়ে হল ১.০৫ শতাংশ। প্রতি রবিবারই করোনার নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা কম থাকে। এই রবিবার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩৫,৯৪৪ জনের। তার মধ্যে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৫১২ জন। একইসঙ্গে বেড়েছে সুস্থতার হারও। রবিবার করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১,৩২৬ জন।
এর আগে শনিবার রাজ্যে করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ৪০,৮৪৮ জনের। একদিনে সংক্রমিত হয়েছিলেন ৬৭২ জন। একদিনে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছিলেন ১,৩৪৭ জন। গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্যে করোনায় মৃত্যুহার আটকে ছিল ১.০৪ শতাংশে। মৃত্যুহারকে এখনও পর্যন্ত সেভাবে কিছুতেই ২০-র নীচে নামানো যাচ্ছে না। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর দাবি করছে, ব্যাপক হারে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ চলছে। কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে যে তারপরও মৃত্যুর সংখ্যা ২০-র নীচে নামছে না কেন।
বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, করোনার ব্যাপারে এখনও বহু ব্যাপারই অজানা। এই ভাইরাস বারবার সংস্করণ বদলাচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে ফের তা ব্যাপকহারে প্রভাব বিস্তার করতে পারে। এই জন্য করোনাবিধি অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলার কথাও জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু, করোনা নিয়ন্ত্রণে এসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্র স্বাভাবিক হওয়ার পর থেকে করোনাবিধি মানার প্রবণতা কমছে।
আরও পড়ুন- আগামীর কথা ভেবে যত দ্রুত সম্ভব ভ্যাকসিন নিতে আবেদন কেন্দ্রের
শনিবার রাজ্যের চারটি পুরসভায় নির্বাচন হয়েছে। সেই সময় বিভিন্ন দলের সমর্থকরা যথেচ্ছভাবে করোনার আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি ভেঙেছেন। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে। সামনেই আবার রাজ্যের ১০৮টি পুরসভায় নির্বাচন। সেই নির্বাচনের প্রচার এখন চলছে জোরকদমে। কিন্তু, সেই প্রচারের ক্ষেত্রেও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে মিলছে করোনাবিধি ভাঙার অভিযোগ। স্বভাবতই পরিস্থিতি এভাবে চললে খারাপ হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।