Bengal Corona-Omicron Updates- স্বস্তি দিয়ে কমল দৈনিক সংক্রমণ, কিন্তু রেকর্ড সংখ্যক মৃত্যু হল বাংলায়। রাজ্যে একদিনে করোনায় মৃত্যু হল ৩৯ জনের। কলকাতায় সর্বাধিক ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে একদিনে। দৈনিক সংক্রমণ এক ধাক্কায় অনেকটাই কমে হল ১৯ হাজার ৬৪। তবে কমেছে সংক্রমণের হার।
সংক্রমণের নিরিখে বাংলায় শীর্ষে কলকাতা। প্রায় রোজই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ফলে তিলোত্তমায় বাড়ল কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যাও। বর্তমানে কলকাতার কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা ২৯ থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৪। শুক্রবার প্রকাশিত স্বাস্থ্য দফতেরর বুলেটিন অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে একদিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২২ হাজার ৬৪৫ জন। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ২৮ জনের। কলকাতায় দৈনিক সংক্রমিতের হার ৬, ৮৬৭ জন।
পশ্চিমবঙ্গে বাড়ল কোভিড বিধিনিষেধের মেয়াদ। আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত জারি থাকবে বিধিনিষেধ। তবে এবার নবান্নের তরফে নিষেধাজ্ঞা সামান্য শিথিল করা হয়েছে। ১৬ জানুয়ারি থেকে বিয়েবাড়িতে একই সময় সর্বোচ্চ ২০০ জন কিংবা অনুষ্ঠান হলের মোট আসন সংখ্যার অর্ধেক- এর মধ্যে যেটা কম, সেই সংখ্যক মানুষ একই সময় উপস্থিত থাকতে পারবেন। খোলা আকাশের নীচে কঠোরভাবে কোভিড বিধিনিষেধ মেনে মেলা হতে পারে।
এদিকে করোনা আবহে রাজ্যের চার পুরনিগমের ভোট পিছিয়ে গেল। কোর্টের নির্দেশকে মাণ্যতা দিয়ে শনিবার নবান্নের তরফে কমিশনকে জানানো হয় যে ভোট পিছলে রাজ্য সরকারের কোনও আপত্তি নেই। এরপরই শিলিগুড়ি, আসানসোল, চন্দননগর ও বিধানগরের পুরনিগম ভোট তিন সপ্তাহ পিছিয়ে দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
করোনার বাড়বাড়ন্ত। এই পরিস্থিতে ২৩ জানুয়ারি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তি জন্মবার্ষিকীতে জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে নবান্ন। বহরে ছোট করা হতে পারে রেড রোডে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানও।
স্বস্তি দিয়ে কমল দৈনিক সংক্রমণ, কিন্তু রেকর্ড সংখ্যক মৃত্যু হল বাংলায়। রাজ্যে একদিনে করোনায় মৃত্যু হল ৩৯ জনের। কলকাতায় সর্বাধিক ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে একদিনে। দৈনিক সংক্রমণ এক ধাক্কায় অনেকটাই কমে হল ১৯ হাজার ৬৪। তবে কমেছে সংক্রমণের হার।
পাঁচ রাজ্যে নির্বাচনী মিছিল-সভায় নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়াল নির্বাচন কমিশন। আগামী ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ল নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ। চার দেওয়ালের ভিতরে ৩০০ জনের বেশি লোক নিয়ে করা যাবে না সভা। জমায়েতে ৫০ শতাংশ লোকের অনুমতি। পাঁচ রাজ্যে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত বলবৎ এই বিধিনিষেধ।
সংক্রমণের নিরিখে বাংলায় শীর্ষে কলকাতা। প্রায় রোজই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ফলে তিলোত্তমায় বাড়ল কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যাও। বর্তমানে কলকাতার কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা ২৯ থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৪।
বাংলায় বাড়ল কোভিড বিধিনিষেধের মেয়াদ। আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত জারি থাকবে বিধিনিষেধ। তবে এবার নবান্নের তরফে নিষেধাজ্ঞা সামান্য শিথিল করা হয়েছে।
রাজ্য সরকারের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে, বিয়েবাড়িতে একই সময় সর্বোচ্চ ২০০ জন কিংবা অনুষ্ঠান হলের মোট আসন সংখ্যার অর্ধেক- এর মধ্যে যেটা কম, সেই সংখ্যক মানুষ একই সময় উপস্থিত থাকতে পারবেন।
খোলা আকাশের নীচে কঠোরভাবে কোভিড বিধিনিষেধ মেনে মেলা হতে পারে।
গঙ্গাসাগর মেলা থেকে বাড়ির পথে পুন্যার্থীরা। ছবি: শশী ঘোষ





বঙ্গে করোনার বাড়বাড়ন্ত। এই পরিস্থিতে ২৩ জানুয়ারি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তি জন্মবার্ষিকীতে জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে নবান্ন। বহরে ছোট করা হতে পারে রেড রোডে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানও। ইতিমধ্যেই মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী এবং স্বরাষ্ট্র সচিব বি পি গোপালিকা সহ রাজ্য প্রশাসনের আধিকারিকদের মধ্যেই এই নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নবান্নে সূত্রে এই খবর মিলেছে।
সূত্র জানিয়েছে যে, 'কোভিড সংক্রমণ বাড়ছে, ফলে বড় সমাবেশের অনুমতিতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এটা নেতাজির জন্মদিন এবং প্রজাতন্ত্র দিবস জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপনের অনুকূল পরিস্থিতি নয়। ২৩ জানুয়ারি রেড রোড থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত যে পদযাত্রা হওয়ার কথা ছিল তা বাতিল হতে পারে। প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানটিও সম্ভব হবে মাত্র ৩০ মিনিটের।'
আসন্ন পুরভোট পিছনের পক্ষেই সওয়াল রাজ্য সরকারের। আজই নির্বাচন কমনিশনে এই মর্মে চিঠি দিয়েছে রাজ্য। করোনা পরিস্থিতির জেরে পুরভোট পিছিয়ে দিলে তাতে রাজ্য সরকারের কোনও আপত্তি নেই, এদিন চিঠিতে কমিশনকে এমনই জানিয়েছে রাজ্য। গতকালই করোনা পরিস্থিতির জেরে পুরভোট ৪-৬ সপ্তাহ পিছনো যায় কিনা সেব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
শুক্রবার মকর সংক্রান্তিতে মেলা শুরু হয়েছে। তবে করোনা-ভয়ে মেলা প্রাঙ্গণ কার্যত ফাঁকা। স্নানে ঘাটেও পুণ্যার্থীদের থেকে পুলিশের সংখ্যাই বেশি। এবছর করোনা-কারণে দেরিতে মেলার অনুমতি এবং কোভিড সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কায় জয়দেব মেলায় আউল-বাউল-সাঁই-ফকিরের আনাগোনা চোখে পড়েনি। পুন্যার্থীদের ভিড়ও নেহাতই কম। শুক্রবার থেকেই রাধাবিনোদ মন্দিরও বেশ ফাঁকা। মেলা চত্বরে বসা দোকানিদের মাথায় হাত।