নতুন ইংরেজি মাস পড়েছে দু'দিনও হয়নি। রাজ্যে একধাক্কায় বাড়ল করোনা সংক্রমণ। মঙ্গলবার মাসের প্রথম দিন দৈনিক সংক্রমণ ছিল ২,০১৪। মাত্র ২৪ ঘণ্টায় তা বেড়ে হল ২,৭২৩। পাল্লা দিয়ে কমল সুস্থতাও। মঙ্গলবার রাজ্যে দৈনিক সুস্থতার সংখ্যা ছিল ৫,৫৪৮। বুধবার তা কমে হল ২,৯৫০।
বিশেষজ্ঞরা আগেই জানিয়েছেন স্যাম্পেল টেস্টের সংখ্যা না-বাড়লে করোনা সংক্রমণ সঠিক পরিসংখ্যান জানা কঠিন। ফেব্রুয়ারির প্রথম দু'দিনের পরিসংখ্যান যেন স্পষ্ট করে দিল, বিশেষজ্ঞদের সেই কথা অক্ষরে অক্ষরে সত্যি। মঙ্গলবার রাজ্যে করোনার স্যাম্পেল টেস্ট হয়েছিল ৪৯,৩০১। বুধবার সেটাই প্রায় ১০ হাজার বেড়ে হয়েছে ৫৯,১০৪। আর তাতেই যেন সংক্রমিতর সংখ্যা ৭০০ বেড়ে গেল মাত্র একদিনের ব্যবধানে।
তবে এতকিছু অবশ্য রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া সুস্থতার হার দেখে বোঝার উপায় নেই। মঙ্গলবার রাজ্যে দৈনিক সুস্থতার হার ছিল ৯৭.৮৬ শতাংশ। বুধবার তা বেড়ে ৯৭.৮৭ শতাংশ হয়েছে বলে জানানো হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে। বিশেষজ্ঞরা হার্ড ইমিউনিটির ওপর জোর দিলেও উল্লেখযোগ্যভাবে গত কয়েক দিনে কিন্তু রাজ্যে করোনায় দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ৩০-এর নীচে নামেনি। সোমবার ৩১ জানুয়ারি, রাজ্যে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৩৬। মঙ্গলবার তা সামান্য কমে ৩৩ হলেও বুধবার ফের বেড়ে ৩৫ হয়েছে।
আরও পড়ুন কমছে আক্রান্তের সংখ্যা, তবে কি শেষের দিকে অতিমারি? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান বলছে, রাজ্যের নির্দিষ্ট কিছু জেলা- কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া, বীরভূম, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, মালদা, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং-এ দৈনিক সংক্রমণ বেশি হচ্ছে। তার মধ্যে কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী দুই ২৪ পরগনায় সংক্রমণের হার অনেকটাই বেশি থাকছে।
আরও পড়ুন পজিটিভিটি রেট-মৃত্যু কমলেও রাজ্যে বাড়ল সংক্রমণের হার, শীর্ষে কলকাতা
এই পরিস্থিতিতে বুধবার কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বৃহস্পতিবার থেকে শহরে সেফ ফোন বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে সামনে রেখে দুর্গাপুজো নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার কথাও বলেছেন। রাজ্য নির্বাচন কমিশনও ২৭ ফেব্রুয়ারি ১০৮টি পুরসভার আসন্ন নির্বাচন নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক করেছে। করোনা পরিস্থিতিতে এই সব বিষয়গুলো এখন প্রশাসন কীভাবে সামাল দেয়, এখন সেদিকেই তাকিয়ে রাজ্যবাসী।