দেশে করোনা সংক্রমণ কমছে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রাজ্যেও কমছে সংক্রমণ। একইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সুস্থতা। কিন্তু, সমস্যা হল যে, মৃত্যু ব্যাপকহারে কমছে না। তেমনটাই বলছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান। আর, মৃত্যুর পরিসংখ্যান ব্যাপক না-কমায় রাজ্যে মৃত্যুহারেও খুব একটা রদবদল ঘটছে না। মৃত্যুর হার আটকে আছে ১.০৪ শতাংশে।
শনিবার ১২ ফেব্রুয়ারি, রাজ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২৫ জনের। নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৬৭২ জন। স্যাম্পেল টেস্ট হয়েছে ৪০,৮৪৮ জনের। রাজ্যে একদিনে সুস্থ হয়েছেন ১,৩৪৭ জন।
শুক্রবার রাজ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছিল ২৭ জনের। স্যাম্পেল টেস্ট হয়েছিল ৪৪,৩০০ জনের। নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ৭৬৭ জন। একদিনে সুস্থ হয়েছিলেন ১,৩৬১ জন। সুস্থতার হার ছিল ৯৮.২৫ শতাংশ। বৃহস্পতিবার রাজ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছিল ২৬ জনের। শুক্রবার মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছিল।
বৃহস্পতিবার একদিনে রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ৮১৭ জন। সুস্থ হয়েছিলেন ১,৩৮১ জন। সুস্থতার হার ছিল ৯৮.২২ শতাংশ। বৃহস্পতিবার রাজ্যে ৪৫,৪৯৫ জনের স্যাম্পেল পরীক্ষা হয়েছিল। মৃত্যুর সংখ্যা অতি সামান্য হেরফের হওয়ায় মৃত্যুহারও গত কয়েকদিনের মতোই আটকে আছে ১.০৪ শতাংশে।
এই পরিস্থিতির মধ্যে শনিবার রাজ্যের চার পুরসভায় নির্বাচন হয়েছে। সেখানে করোনাবিধি ভাঙার অভিযোগ বারবার উঠেছে। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে আবার রাজ্যের শতাধিক পুরসভায় নির্বাচন। এই নির্বাচনেও করোনাবিধি ভাঙার সম্ভাবনা রয়েছে বলে অনেকে ইতিমধ্যেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন- দেশে সবচেয়ে বড় ব্যাংক প্রতারণার অভিযোগ এবার প্রকাশ্যে আনল সিবিআই
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বিশেষজ্ঞরা বারবার জানিয়েছেন, সংক্রমণ যতই নিয়ন্ত্রণে থাকুক না- কেন, ফের বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে করোনাবিধি পালনে অসতর্ক হলে ফের সংক্রমণ বাড়তে পারে বলেই জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
এরমধ্যে আবার স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলছেন। কারণ, দেখা গিয়েছে বৃহস্পতি এবং শুক্রবার স্বাস্থ্য দফতরের টেস্টিং ল্যাবরেটরির সংখ্যা ছিল ১৬১। ওই দুই দিন স্যাম্পেল টেস্ট হয়েছে ৪৪ থেকে ৪৫ হাজার। আর, শনিবার টেস্টিং ল্যাবরেটরির সংখ্যা বেড়ে ১৬২ হয়েছে। শনিবার আবার স্যাম্পেল বা নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪০ হাজার।