স্বস্তি দিয়ে কমল দৈনিক সংক্রমণ, কিন্তু রেকর্ড সংখ্যক মৃত্যু হল বাংলায়। রাজ্যে একদিনে করোনায় মৃত্যু হল ৩৯ জনের। কলকাতায় সর্বাধিক ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে একদিনে। দৈনিক সংক্রমণ এক ধাক্কায় অনেকটাই কমে হল ১৯ হাজার ৬৪। তবে কমেছে সংক্রমণের হার।
রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ১৩২ জন। সুস্থতার হার কমে হয়েছে ৯০.৬৮ শতাংশ। সংক্রমণ হার কমে হয়েছে ২৯.৫২ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে টেস্ট হয়েছে ৬৪ হাজার ৫৭২ জনের। রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৮ লক্ষ ৮২ হাজার ৭৬১। মোট মৃত্যু হয়েছে ২০ হাজার ৫২ জনের।
কলকাতায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪,৮৩১ জন। মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। তারপরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। এই জেলায় একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৩,৪৯৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। তবে এই জেলায় বেড়েছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। রাজ্যে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯,৮৯৩।
আরও পড়ুন রাজ্যে বাড়ল বিধি-নিষেধের মেয়াদ, তবে একাধিক ক্ষেত্রে ছাড়ের ঘোষণা
এদিকে, কোভিডের বাড়বাড়ন্তের জেরে জল্পনা সত্যি করে পিছিয়েই গেল চার পুরনিগমের ভোট। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ভোট করার কথা ঘোষণা করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পুরনির্বাচন পিছনোর জন্য রাজ্যের অনুরোধের পর শনিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে ভোট পিছনোর সিদ্ধান্ত জানাল কমিশন। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ভোট হবে বলে জানিয়েছে কমিশন।
তবে প্রচার নিয়ে কমিশনের আগের নির্দেশই বহাল থাকবে। ৭২ ঘণ্টা আগে প্রচার বন্ধ করতে হবে বলে জানিয়েছেন কমিশনের সচিব। এছাড়়াও আগের বিধিনিষেধ বলবৎ থাকবে। অন্যদিকে, শনিবার রাজ্যে বাড়ানো হল কোভিড নিয়ন্ত্রণে বিধি-নিষেধের মেয়াদ। আপাতত ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যে বহাল থাকবে বিধি-নিষেধ। শনিবার নবান্নের তরফে নির্দেশিকা জারি করে এই তথ্য জানানো হয়েছে। তবে এবার বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ শিথিল করেছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন রাজ্যে বাড়ল বিধি-নিষেধের মেয়াদ, তবে একাধিক ক্ষেত্রে ছাড়ের ঘোষণা
শনিবার নবান্নের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, এবার থেকে বিয়ে বাড়িতে সর্বোচ্চ ২০০ জন হাজির থাকতে পারবেন। আগে বলা হয়েছিল সর্বোচ্চ ৫০ জন হাজির থাকতে পারবেন বিয়ের অনুষ্ঠানে। এছাড়াও করোনা বিধি মেনে এবার খোলা জায়গায় মেলার অনুমতি দিয়েছে রাজ্য। তবে মেলায় কোভিড বিধি মানা হচ্ছে কিনা সেদিকে নজর রাখতে নির্দেশ স্থানীয় প্রশাসনকে।
বিয়েবাড়ি ও মেলার ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ খানিকটা শিথিল করলেও অন্যান্য ক্ষেত্রগুলিতে বহাল থাকছে আগের নির্দেশিকা। অর্থাৎ নাইট কার্ফু যেমন ছিল তেমনই চলবে। এছাড়াও লোকাল ট্রেনন চলাচলে নিয়ন্ত্রণ থাকছে। আপাতত ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সহ স্কুল-কলেজ-সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও বন্ধই থাকছে।