শুক্রবারের পর শনিবারেও রাজ্যের দৈনিক সংক্রমণ ১৮ হাজারের বেশি। কিন্তু সংক্রমণ হার একলাফে আড়াই গুণ বেড়ে পৌঁছে গেল ৩০ শতাংশের কাছে। স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে আক্রান্ত ১৯ হাজার ছুঁইছুঁই। কলকাতাতে দৈনিক আক্রান্ত সাত হাজারের বেশি। কলকাতা লাগোয়া জেলাগুলিতেও লাফিয়ে বাড়ল সংক্রমণ। বাড়ল দৈনিক মৃত্যুও। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে আক্রান্ত ১৮ হাজার ৮০২ জন। কলকাতায় সেই সংখ্যাটা ৭,৩৩৭ জন। কলকাতা লাগোয়া দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া-হুগলিতেও বেড়েছে দৈনিক সংক্রমণ। উত্তরবঙ্গে কিছুটা কমেছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। কোচবিহার, দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ে কমেছে আক্রান্তের সংখ্যা। তবে মালদহ, উত্তর দিনাজপুরে অনেকটা বেড়েছে সংক্রমণ।
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের। তার মধ্যে কলকাতারই ৭ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৯ হাজার ৮৮৩ জনের। গত সপ্তাহে রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণের হার ছিল ১২.০২ শতাংশ। এক সপ্তাহে সেটা বেড়ে গিয়ে দাঁড়াল ২৯.৬০ শতাংশ। প্রায় ৩০-এর কাছাকাছি।
বাংলায় বেড়েছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। বাংলায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬২ হাজার ৫৫ জন। উল্লেখ্য, দেশজুড়ে করোনার লাগামছাড়া সংক্রমণ। গতকালের চেয়ে এদিন একলাফে ২১ শতাংশেরও বেশি মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। হু হু করে বাড়ছে করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও। সংক্রমণে রাশ টানতে রাজ্যে-রাজ্যে জারি বিধি-নিষেধ। তবুও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া আটকানো যাচ্ছে না। একাধিক রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি বিপজ্জনক আকার নিয়েছে।
আরও পড়ুন বিধিনিষেধকে থোড়াই কেয়ার, রমরমিয়ে চলছে স্কুল, গা-ঘেঁষাঘেঁষি করে বসে খুদেরা
করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে তোলপাড় গোটা দেশ। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশজুড়ে নতুন করে ১ লক্ষ ৪১ হাজার ৯৮৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। একদিনে দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন ৪০ হাজার ৮৯৫ জন। দেশে এই মুহূর্তে করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৪ লক্ষ ৭২ হাজার ১৬৯।
রাজ্যে-রাজ্যে বিদ্যুৎ গতিতে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। সংক্রমিতের তালিকায় সবচেয়ে ওপরে রয়েছে মহারাষ্ট্র। তালিকায় এরপরেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। একদিনে বাংলায় ১৮ হাজারে বেশি মানুষ গতকাল করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও দিল্লি, তামিলনাড়ু, কর্নাটক-সহ একাধিক রাজ্যের সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।