একুশের নির্বাচনের আগে মেদিনীপুর থেকে নির্বাচনী সভা শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় আরও বেশি করে মেদিনীপুরে গড়রক্ষায় নজর তৃণমূল নেত্রীর। তার প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে মঙ্গলবার বড় সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। খড়গপুরের তেলুগুভাষী ভোটারদের কথা মাথায় রেখে তেলুগুকে রাজ্যের সরকারি ভাষার স্বীকৃতি দিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সর্বসম্মতিক্রমে নেওয়া এই সিদ্ধান্তের কথা জানান মমতা। একইসঙ্গে এই তেলুগুভাষীরা ভাষাগতভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মর্যাদ পেলেন।
ভোটের মুখে এই পদক্ষেপ নির্বাচনের কথায় মাথায় রেখেই করা হয়েছে বলে মত বিশ্লেষকদের। খড়গপুরের অধিকাংশ বাসিন্দা তেলুগুভাষী। পূর্বসূরীরা অভিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে এই রেলশহরে কর্মসূত্রে বা জীবিকার সন্ধআনে চলে আসেন। শিল্পাঞ্চলের তেলুগুভাষীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, তেলুগুকে সরকারি ভাষার স্বীকৃতি দেওয়া হোক। স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক প্রদীপ সরকার এই বিষয়ে সরকারের কাছে আবেদনও করেছিলেন। সেই আবেদন মেনেই এমন পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এই তেলুগুভাষীরা ভাষাগতভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মর্যাদা পেলেন। রাজ্যের সিদ্ধান্তে দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হওয়ায় খুশি খড়গপুরের তেলুগুভাষীরা।
আরও পড়ুন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি-ইন্টারভিউয়ের দিন ঘোষণা মমতার
এদিকে, এদিন রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে চার গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী, বিশেষ করে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপস্থিতির জেরে জল্পনা ছড়িয়েছে। চন্দ্রনাথ সিনহা, গৌতম দেব, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রিসভার বৈঠকে গরহাজির ছিলেন। এ বিষয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, প্রত্যেকেই বৈঠকে থাকতে না পারার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে জানিয়েছেন। এতে জল্পনার কিছু নেই দাবি পার্থবাবুর। চন্দ্রনাথ সিনহা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বীরভূমে মুখ্যমন্ত্রীর সভার প্রস্তুতি নিয়ে তিনি ব্যস্ত তাই আসতে পারেননি। রবীন্দ্রনাথ ঘোষ অসুস্থ এবং গৌতম দেব সদ্য করোনামুক্ত হয়েছেন। স্থানীয় কর্মসূচি করলেও কলকাতায় আসতে অপারক। কিন্তু রাজীবকে নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। সোমবারই পার্থবাবুর সঙ্গে বৈঠক হয় ইদানীং বেসুরো এই মন্ত্রীর। তারপরেই মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুপস্থিতি অন্য মাত্রা যোগ করছে জল্পনায়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন