অবশেষে সেই দাবি পূরণ হল ওঁদের। দেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার পথে এককদম এগোলেন ছিটমহলবাসীরা। ছিটমহলবাসীদের জমির অধিকার দিতে সোমবার রাজ্য বিধানসভায় সর্বসম্মতিতে বিশেষ বিল পাস হল। যে বিলের ফলে নিজের জমির মালিকানা পেতে পারবেন ছিটমহলবাসীরা। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের পয়লা অগাস্ট ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ছিটমহল বিনিয়োগ হয়। সেসময় মোট ১৬২টি ছিটমহলের বিনিয়োগ হয়। ছিটমহল বিনিয়োগ হলেও, ভবিষ্যত নিয়ে সংশয়ে ছিলেন ছিটমহলবাসীরা। অবশেষে এদিনের এই জমির অধিকার সংক্রান্ত বিল পাস হওয়ার ফলে সহজেই জমির মালিকানা পাবেন তাঁরা।
ছিটমহলবাসীদের এই বিলকে ‘ঐতিহাসিক বিল’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়। এদিন বিধানসভায় তিনি বলেন যে, এই বিলের ফলে ছিটমহলবাসীরা দেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ পাবেন। একইসঙ্গে মমতা বলেন যে, এই বিলের ফলে তাঁরা সবরকম নাগরিক সুবিধা পাবেন। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন যে, ছিটমহলবাসীদের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার অনেক কাজ করছে।
আরও পড়ুন, মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে বিনামূল্যে হৃদ প্রতিস্থাপন মেডিক্যাল কলেজে
২০১৫ সালের পয়লা অগাস্ট ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ছিটমহল বিনিয়োগ হয়। যেখানে কোচবিহারে ১১১টি ভারতীয় ছিটমহল বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হয়। অন্যদিকে, বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল ভারতের সঙ্গে যুক্ত হয়। প্রায় ৩৭ হাজার ৩৩৪ জন ছিটমহলবাসী ভারতে ছিলেন, যাঁরা বাংলাদেশে যেতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে, ৯২২ জন ছিটমহলবাসী যাঁরা বাংলাদেশে ছিলেন, তাঁরা ভারতে আসতে চেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন মমতা।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান যে, ছিটমহলবাসীদের ঘর তৈরির জন্য রাজ্য সরকার ১০০ কোটিরও বেশি টাকা খরচ করেছে। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রকে বিঁধে মমতা বলেন যে, কেন্দ্রের থেকে ৫৭৯ কোটি টাকা পেয়েছে রাজ্য, যদিও এখনও বাকি রয়েছে ৪২৬ কোটি টাকা। তিনি বলেন যে, রাজ্য সরকারের কোষাগার থেকেই আরও টাকা খরচ করতে হবে।
অন্যদিকে, আসামে এনআরসি ইস্যু প্রসঙ্গে এদিন ফের মুখ খোলেন মমতা। বিজেপির নাম না করে নিশানা করে মমতা বলেন যে, ১৯৭১ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত এদেশে যাঁরা এসেছেন, তাঁরা সকলেই ভারতের নাগরিক। কিন্তু এটা নিয়ে একটা রাজনৈতিক দল রাজনৈতিক খেলা খেলছে। দেশের আসল নাগরিককে বাধ্য করছে আত্মহত্যা করতে।
Read the full story in English