Fishing Boats in West Bengal to Get Automated Trackers: অটোমেটিক আইডেন্টিফিকেশন সিসটেম (AIS) ট্রান্সপন্ডার (এমন একটি যন্ত্র যা রেডিও সংকেত সংগ্রহ করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অন্য সংকেতে পরিবর্তিত করতে পারে) বসানো হবে রাজ্যের মাছ ধরার সমস্ত নৌকাগুলিতে। পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে মাছ ধরার নৌকাগুলির আয়তনের নিরিখেই বসানো হবে এই যন্ত্র। এর আগে নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার জন্য নৌকায় এই যন্ত্র লাগানো বাধ্যতামূলক ছিল। তবে সেগুলি ছিল প্রায় ২০ ফুটের, যা আকারে অনেকটাই বড়।
নেভি ডে উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নৌসেনা আধিকারিক কমোডর সুপ্রভ দে বলেন, "একাধিক ট্রান্সপন্ডার নিয়ে পরীক্ষা চালানোর পর ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ISRO) এমন একটি যন্ত্র নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে এসেছে যা কম খরচেই কার্যকর হবে। প্রতিটি ট্রান্সপন্ডারের দাম ৪,০০০-৫,০০০ টাকার মধ্যেই। কাজেই কে এই ট্রান্সপন্ডারের খরচ জোগাবেন এই সমস্যার সমাধান হয়ে গিয়েছে। উপকূল বরাবর নৌকার গতিবিধি নজরে রাখতে সাহায্য করবে এই নতুন ব্যবস্থা।"
আরও পড়ুন: মঙ্গলে মনমতো জায়গা না পেলেও আগ্নেয়গিরির স্পর্শ পেয়েছে ‘ইনসাইট’
১৯৭১ সালে ভারত-পাক যুদ্ধের সময় করাচী বন্দরে হামলার ঘটনাটি স্মরণে রেখে পালন করা হয় নেভি ডে। উল্লেখ্য, ২০০৮-এর মুম্বই হামলার সময় পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদীরা শহরের উপকূলে মাছ ধরার একটি নৌকা দখল করে নেয়। সেই সময় থেকেই ভারতের উপকূল বরাবর সমস্ত ছোট জাহাজ, ট্রলার এবং নৌকাগুলির ওপর নজর রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, যে কোনও সন্দেহজনক পরিস্থিতি জানার জন্য মৎস্যজীবীদের চোখ এবং কান হিসেবে ব্যবহার করেছে নৌসেনা এবং উপকূলরক্ষী বাহিনীরা।
নৌসেনার ক্যাপ্টেন সুমন্ত রায়ের কথা অনুযায়ী, ত্রিগুন এবং আফগা নামে দুটি সফটওয়্যার ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে এটা শুধুমাত্র জাহাজগুলির উপর নজর রাখতেই নয়, বরং উপকূলীয় গ্রাম, বন্দর, নদী, খাল, মেরিন পুলিশ স্টেশন এবং ভৌগোলিক অবস্থান ও অন্যান্য স্থাপিত বস্তু সম্পর্কিত সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য সংরক্ষণ করতেও ব্যবহার করা হবে। তিনি আরও বলেন, "যত বেশি তথ্য আমরা পাব, নজরদারি ততই সহজ হবে, একবার সমস্ত নৌকায় AIS ট্রান্সপন্ডার বসিয়ে দেওয়া হলে সেগুলিকেও ত্রিগুন ব্যবহার করে ট্র্যাক করা যাবে।"