সরকারি চিকিৎসক অরুণাচল দত্তচৌধুরীর উপর থেকে সাসপেনশন প্রত্যাহার করে নিল রাজ্য সরকার। দেড় বছর ধরে তিনি সাসপেন্ড ছিলেন।
বারাসাতের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা হাসপাতালে চিকিৎসারত ছিলেন অরুণাচলবাবু। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তিনি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অসত্য ও অপমানজনক বক্তব্য রেখেছিলেন। ঘটনার সূত্রপাত একটি ফেসবুক পোস্ট থেকে। প্রবীণ এই চিকিৎসক ফেসবুক পোস্টে লিখেছিলেন, হাসপাতালে তাঁর অধীনে ৫০০ রোগী ভর্তি রয়েছেন, যাঁদের দেখভালের দায়িত্ব কার্যত তাঁর একার উপর। তাঁর অধীনে দুজন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি থাকলেও এত রোগীর দেখভাল করা তাঁর পক্ষে অসম্ভব।
দেড় বছর পর উঠল সরকারি চিকিৎসকের সাসপেনশন
শুধু তাই নয়। অরুণাচলবাবুর কথায়, তিনি চাকরিতে ঢুকেছিলেন ৫৮ বছর বয়সে অবসর নেবেন জেনে। কিন্তু তাঁকে না জানিয়ে, বা তাঁর সঙ্গে আলোচনা না করে প্রথমে তাঁর চাকরির সময়সীমা প্রথমে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত ও পরে ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত এক্সটেন্ড করে দেওয়া হয়। তাঁর বিরুদ্ধে যখন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তখন তাঁর বয়স ৬২ অতিক্রম করে গিয়েছে। এখন তাঁর আর চার মাস চাকরি রয়েছে। সে সময়ে তিনি বক্ষরোগের মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে পদে থাকলেও, তাঁকে জেনারেল ফিজিশিয়নের কাজ করতে হত বলে অভিযোগ।
২৪ জানুয়ারির সরকারি চিঠিতে জানানো হয়েছে, ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে অরুণাচল দত্তচৌধুরী তাঁর সাসপেনশন প্রত্যাহারের আর্জি জানিয়ে যে আবেদন করেছিলেন, তার প্রেক্ষিতে সরকার সাসপেনশন তুলে নিচ্ছে। ওই চিঠিতে জানানো হয়েছে, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর তাঁর জয়েনিং সংক্রান্ত নোটিস দেবে।
সরকারের সিদ্ধান্তের পর তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে, ডাক্তার অরুণাচল দত্তচৌধুরী বলেন, "আমি চাকরিতে যোগ দিতে অত্যন্ত আগ্রহী। তবে কোথায় জয়েন করতে হবে, তা আমি এখনও জানি না।"